রাশিদুল ইসলাম : [২] যুক্তরাষ্ট্রের জনমত জরিপ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের সম্প্রতি এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে গত সাত বছরে বেশ কিছু সরকারি সিদ্ধান্তে ভারতে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের পারস্পরিক অবিশ্বাস ও দূরত্ব বেড়েছে। ভারতের সব সম্প্রদায়ের অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন, দেশটিতে ধর্মাচরণ অবাধ। কিন্তু ৬৪ শতাংশ মনে করেন, হিন্দু না হলে জাতীয়তাবাদী হওয়া যায় না।
[৩] কোভিডের ঠিক আগে ভারতের প্রায় ৩০ হাজার নাগরিকের সঙ্গে আলাপ শেষে পিউ রিসার্চ ওই প্রতিবেদন তৈরি করে। ১৭ ধরনের ভাষাভাষী মানুষের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে এত মানুষের সঙ্গে কথা বলে ভারতে ধর্মাচরণ ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার যে ছবি প্রকট হচ্ছে, তাতে তারা জানিয়েছেন পারস্পরিক সন্দেহ ও অবিশ্বাস থেকে নিজেদের গণ্ডির আবর্তে অন্য ধর্মানুসারীদের ছোঁয়া বাঁচিয়ে ছাড়া থাকতে বেশি পছন্দ করেন।
[৪] সমীক্ষা বলছে ভারতের ৭৭ শতাংশ হিন্দুমুসলমান কর্মফলে বিশ্বাসী। ৮১ শতাংশ হিন্দুর পাশাপাশি ৩২ শতাংশ খ্রিষ্টানের বিশ্বাস, পাপস্খলনের অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে গঙ্গার। ৩২ শতাংশ মুসলমানও সুফি মতবাদের অনুসারী। সব ধর্মের মানুষ মনে করেন, প্রবীণদের সম্মান জানানো প্রকৃত ধর্মাচরণেরই অঙ্গ। ধর্মপালনের মহান ব্রত ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
[৫] ৬৭ শতাংশ হিন্দু মনে করেন, তাদের ধর্মের নারীর অন্য ধর্মে বিয়ে করা উচিত নয়। ৬৫ শতাংশের রায়, হিন্দু পুরুষদেরও উচিত নয় বিধর্মী নারীকে বিয়ে করা। এই ক্ষেত্রে মুসলমান মনোভাব আরও অন্তর্মুখী। ৮০ শতাংশ চান না মুসলিম নারী অন্য ধর্মাবলম্বীকে বিয়ে করুন। ৭৬ শতাংশ মনে করেন, মুসলমান পুরুষদেরও অন্য ধর্মের নারীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করা উচিত নয়।
[৬] ৩৬ শতাংশ হিন্দু একেবারেই চান না তার প্রতিবেশী মুসলমান হোন। ৪৫ শতাংশ অবশ্য প্রতিবেশী পছন্দের ক্ষেত্রে অতটা ঋজু নন। ৮২ শতাংশ হিন্দু যারা মনে করেন, অন্য ধর্মাবলম্বীদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোই ভারতীয় রীতি।