ইমরুল শাহেদ: মাদককাণ্ডে পরীমণি র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর শোবিজ জগতে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। একজন অভিনেত্রী এ রিপোর্টারকে বলেছেন, ‘এখন রাস্তায় বের হতেই ভয় লাগে। লোকজন আড় চোখে তাকায়।’ তিনি এমনটা বুঝাতে চাইলেন যে, লোকজনের চোখে তারা খারাপ হয়ে গেছেন। একজন টিভি শিল্পী ফেসবুকে বারবার স্ট্যাটাস দিয়ে বলছেন, পরীর কারণে তাকে তার বাবা-মায়ের কাছে গালি শুনতে হচ্ছে। অভিভাবকরা মিডিয়া জগত ছেড়ে দিতে চাপ সৃষ্টি করছেন তাকে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরীমণিকে নিয়ে নানা ধরনের ট্রল হচ্ছে।
কেউ পরীমনির পক্ষে বলছেন, কেউ বলছেন বিপক্ষে। খুব কম সময়ের মধ্যেই পরীমণি সামাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে উঠেছেন। পরিচালক মালেক আফসারি তাকে উল্লেখ করেছেন ‘নাটকবাজ’ মেয়ে হিসেবে। এভাবে নানাদিক থেকেই পরীমণিকে নিয়ে চলছে নানা বিচার-বিশ্লেষণ। এক সময় যারা পরীমণির কাছাকাছি ছিলেন এবং তার কাছ থেকে নানা সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন তাদের কেউ এখন তার পাশে নেই। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফেসবুক লাইভে এসে পরীমণি কাকুতি-মিনতি করলেও কেউ তার ডাকে সাড়া দেননি। পরীমণির মামলাটি এখন রয়েছে তদন্তাধীন। তদন্তের স্বার্থে আদালত তার চারদিনের রিম্যান্ড মঞ্জুর করেছে। শুক্রবার গোয়েন্দা কার্যালয়ে গিয়েছিলেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও অভিনেতা জায়েদ খান।
সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘শিল্পী সমিতি শিল্পীদের ভালো কাজে পাশে থাকবে, খারাপ কাজে নয়। আমি জায়েদ খানও যদি খারাপ কিছু করি তাহলে আমার দায়ভার কেন শিল্পী সমিতি নেবে? শিল্পীদের কেউ যদি অপকর্মে জড়িত হয়ে যায় তাহলে এর দায় ওই শিল্পীর নিজের। মানুষ আমাকে খারাপ করার জন্য চেষ্টা করবেই কিন্তু দিন শেষে আমি অভিনয় দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে দর্শক হৃদয় জয় করব। কোনো শিল্পী যদি আর্থিক লোভে জড়িত হয়ে যায় তার দায়ভার নিজের, শিল্পী সমিতির নয়।’ পরীমণি শিল্পী সমিতির সদস্য। এই সমিতি যদি পরীমণি থেকে দূরে থাকে তাহলে আর কোনো সংগঠন কি এগিয়ে আসবে?