রাজু চৌধুরী: [২] হঠাৎ বিপাকে পড়া রোগীদের সেবায় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ চালু করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডবলমুরিং মডেল থানা।
[৩] সরকারি বিধিনিষেধ চলাকালীন সময়ে জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে যাতায়াতের সুবিধার্থে রোগীদের জন্য ব্যবস্থা করেছে অ্যাম্বুলেন্স ও সিএনজি অটোরিকশা। রোগীরা চাইলেই এসব গাড়ি ব্যবহার করে হাসপাতালে যেতে পারবেন। এজন্য কোন টাকাও লাগবে না! এইটি একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেবা প্রদানের ব্যবস্থা।
[৪] শুক্রবার (৩০ জুলাই) এই সেবাটি উদ্বোধন এর কথা জানিয়ে পুলিশ জানায়, ডবলমুরিং থানা প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধনের করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (পশ্চিম) মো. আব্দুল ওয়ারীশ। উদ্ধোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, 'যান চলাচল বন্ধ থাকায় রোগীরা সমস্যায় পড়েছেন। বিপাকে পড়া মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষদের কথা বিবেচনা করেই আমাদের এই বিনামূল্যে পরিবহন সেবা ব্যবস্থা।'
[৫] ডবলমুরিং মডেল থানার এই উদ্যোগে পাশে দাঁড়ান জনাব মাশরাফুল ইসলাম শাকিল। তিনি একটি এম্বুলেন্স প্রদান করেন। এরপর একে একে পাশে দাঁড়ায় সামাজিক সংগঠন ধনিয়ালাপাড়া বন্ধু মহল, মুহুরীপাড়া এলাকার ডলফিন ক্লাব, সিডিএ আবাসিক এলাকার আর.এস.কে ক্লাব, আগ্রাবাদের এস এস ট্রেডিং, পাহাড়তলী ঝর্ণাপাড়ার সায়মা প্রোপার্টিজ এবং পাঠানটুলি খান বাড়ির মোঃ আসাদ খান। তারা প্রত্যেকেই রোগী পরিবহনে একটি করে সিএনজি প্রদান করেন।
[৬] বিনামূল্যে এই পরিবহন সেবা ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে। ০১৩২০০৫২৭৪৯ নাম্বারে ফোন করলেই গাড়ি বাসার সামনে এসে নিয়ে যাবে। আবার হাসপাতাল থেকে বাসায়ও পৌঁছে দিবে। আপাতত ডবলমুরিং থানা এলাকার মধ্যেই এই কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে রোগীর অবস্থা বিবেচনায় বাইরেও এই সেবা প্রদান করা হবে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকা পর্যন্ত সিএনজির সেবা পাওয়া যাবে। কিন্তু এম্বুল্যান্স সেবা অব্যাহত থাকবে।
[৭] এসময় অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার পংকজ দত্ত, সহকারি পুলিশ কমিশনার মো. মাহমুদুল হাসান মামুন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), ডবলমুরিং মডেল থানা, মোহাম্মদ মহসীন, পিপিএম (বার), পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :