শাহীন খন্দকার: [২] জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা আরও বলেছেন, মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে হবে। পাশাপাশি সংক্রমণপ্রবণ এলাকায় করোনা চিকিৎসায় ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিতে হবে।
[৩] শুক্রবার (৩০ জুলাই) গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, লকডাউন চলছে কিন্তু মানুষকে ঘরে আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার জরিপ বলছে, করোনায় ১ বৎসরে দেশের প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জীবনমান নতুন করে দারিদ্রসীমার নীচে নেমে গেছে।
[৪] তিনি আরও বলেন, করোনার পূর্বও আরো সাড়ে ৩ কোটি মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছেন। বেশীর ভাগ দরিদ্র মানুষের ঘরে খাবার নেই, পকেটে ঔধধ ও শিশু খাদ্য কেনার পয়সা নেই। এ ধরনের মানুষকে ঘরে আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা।
[৫] বিবৃতিতে জি এম কাদের আরো বলেন, লকডাউন চলছে কিন্তু প্রতিদিন সরকারি হিসেবেই প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে, মৃত্যু হচ্ছে প্রতিদিন দুই শতের উপরে। এদিকে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার উর্ধ্বগামী এবং কমার কোন লক্ষণ বা কারণ দেখা যাচ্ছেনা। ফলে বাস্তবে লকডাউনে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
[৬] খেটে খাওয়া মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। প্রতিদিন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে তাদের আহাজারি। সে কারণেই গণটিকা জোরদার করে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :