পীর হাবিবুর রহমান: ভিকারুন্নিসার প্রিন্সিপালের নোংরা অশ্রাব্য গালিগালাজকেও অনেকে নানা যুক্তিতে সমর্থন দিচ্ছেন। সমাজ কতোটা নষ্ট হলে এমন হয়! যারা সমর্থন দিচ্ছেন তারা নিশ্চয়ই বিকৃত এবং ব্যক্তিগত জীবনে এমন নোংরা গালিগালাজে অভ্যস্ত। তাদেরটা ভাইরাল হয়নি বলে দেশ জানে না আসল চেহারা। তাদের জন্য করুণা হয়। টিভি টকশোতে দেখলাম, প্রিন্সিপালের সহপাঠি যুব মহিলা লীগ সভানেত্রী নাজমা আখতারও নোংরা গালিকে সমর্থন করেননি। তবে যুক্তি দিয়ে প্রিন্সিপালের পক্ষে কথা বলেছেন। প্রিন্সিপালের দড়জায় যে লাথি মেরেছে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেননি কেন? আইনের আশ্রয় কেন নেননি?
অভিভাবক ফোরাম অনৈতিক নিয়োগ বাণিজ্যের চাপ দিলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করাননি? তারা আইনের চেয়ে ক্ষমতাবান নয়। কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের কমিটি ভেঙে দিতে পারে। সরকার চাইলে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে। এটা মগের মুল্লুক নয় একটি দেশ সেরা মেধাবী ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে যা খুশি করবেন। একযুগে ভিকারুন্নিসাকে ভর্তি বাণিজ্যসহ নানা বিতর্কে বিতর্কিত করা হয়েছে। প্রিন্সিপাল হামিদা আলী অবসরে যাবার পর এর বিপর্যয় শুরু। সরকারকে এখানে কঠোরভাবে হস্তক্ষেপ করতে হবে। আর যে প্রিন্সিপাল এতো নোংরা ভাষা ব্যবহার করেন, বালিশের নীচে পিস্তল নিয়ে ঘুমানো, ব্যাগে রিভলবার রাখার দম্ভোক্তি করেন, তাকে আর যাই হোক গোটা দেশ জানার পর তিনি নৈতিক কারণে ভিকারুন্নিসার প্রিন্সিপাল থাকতে পারেন না। তাকে সরিয়ে দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবার সুযোগ নেই। অভিভাবক ফোরামের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :