শরীফা খাতুন : [২] জেলার পাইকগাছায় বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে হরিঢালী ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের কপোতাক্ষ নদের একটি খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
[৩] পুলিশ ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এর আগে বস্তাবন্দী মরদেহটি ভাসতে দেখে ওই এলাকার সবুজ নামের এক ব্যক্তি ৯৯৯ খবর দেন।
[৪] পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, মরদেহটি বেশ কয়েকদিন আগের। বস্তার সঙ্গে কয়েকটি ইট দিয়ে আরেকটি বস্তা বাঁধা ছিল। মরদেহটি যেন পানিতে তলিয়ে থাকতে পারে সেজন্যই ওই ব্যবস্থা করেছে দুবৃত্তরা।
[৬] মরদেহটি উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন পাইকগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইমরান হোসেন।
[৭] তিনি বলেন, মৃতদেহটি ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সের কোনো যুবকের। গলায় গামছা বাঁধা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ গুম করতে ওই পন্থা অবলম্বন করেছে দুবৃত্তরা। মুখমন্ডলসহ বিভিন্ন অঙ্গ পচে গলে গেছে। এখন মরদেহটি আর চেনার মতো নেই। সিআইডি ও পিবিআই এর দুটি ক্রাইমসিন দল মরদেহটি পযবেক্ষণ করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
[৮] পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফি বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর আশপাশের বিভিন্ন থানায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোনো নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি করা আছে কী না তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ৫ থেকে ৭ দিন আগে কে বা কারা ওই অজ্ঞাত ব্যক্তিকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দিয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহেমদ