সালেহ্ বিপ্লব: [২] উহানের ল্যাব থেকে করোনা ছড়িয়েছে, এমন ধারণা জোরালো হয়ে উঠলে সেখানে তদন্ত চালানোর দাবি ওঠে। সেই মতো গত জানুয়ারিতে উহানে চার সপ্তাহ অবস্থান করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তকারীরা। মার্চে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তারা বলেন, ভাইরাসটি সম্ভবত বাদুড় থেকে অন্য পশুপাখির মাধ্যমে মানুষের শরীরে এসেছে। সিএনএন
[৩] তবে সে তদন্ত মনোঃপুত হয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বমোড়লেদের। বিভিন্ন পক্ষের চাপাচাপির মুখে হু’র মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গ্যাব্রেয়াসুস দ্বিতীয় দফা তদন্তের প্রস্তাব দেন। এতে করোনাভাইরাস প্রথম যে এলাকায় দেখা যায়, সে এলাকার ল্যাবরেটরি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনের কথা বলা হয়। বিবিসি
[৪] এই তদন্তে চীনের স্বচ্ছতা প্রত্যাশা করে তথ্য উন্মুক্ত রাখার আহ্বান জানান গ্যাব্রেয়াসুস। প্রথম দফায় অনুসন্ধানকারীদের কাছে রোগীদের প্রারম্ভিক তথ্য দেওয়া হয়নি। এবার সেগুলো দেওয়ার অনুরোধ জানান গ্যাব্রেয়াসুস। ইয়ন
[৫] কিন্ত একদম বেঁকে বসেছে, প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে খুব ঝাঁঝালো ভাষায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে চীন বলছে, ফের তদন্তের এই প্রস্তাব ‘অশ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রাসী মনোভাব।’ জাপান টাইমস
[৬] ব্লুমবার্গ জানায়, চীনের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী জেং ইশিন বৃহস্পতিবারএক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের গবেষণাগারগুলো যে নিয়মনীতির ভিত্তিতে চলে, চলে, হু’র প্রস্তাব তার সঙ্গে যায় না। এটি পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক।