সালেহ্ বিপ্লব, আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ঈদ-উল আযহার সরকারি ছুটি কাটাচ্ছেন বাসায় বসেই। যে কোনো সময় যে কোনো প্রয়োজনে যাতে অফিসে যেতে পারেন, সেটাই মূল কারণ।
[৩] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
[৪] বিপুলসংখ্যক মানুষ শহর থেকে গ্রামে যাওয়ায় মাঠ প্রশাসনের কাজ অনেকটা বেড়ে গেছে, চাপটাও বাড়তি। তাই জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য দপ্তরও করোনাকালের স্বাস্থ্যবিধির প্রতিপালন নিশ্চিত করবে।
[৫] এ ব্যাপারে আলাপকালে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বললেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করছি।
[৬] একদিকে কোরবানী ঈদ উপলক্ষ্যে গ্রামে গ্রামে মানুষের ভিড়, অন্যদিকে জেলার করোনা পরিস্থিতির অনেকটাই অবনতি ঘটছে। এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিচ্ছেন, জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, যে কোনো অবস্থাতেই স্বাস্থ্যবিধি যাতে প্রতিপালিত হয়, সেটা নিশ্চিত করতে আমরা তৎপর রয়েছি। আমাদের অফিসাররা মানুষকে নিয়ম মেনে চলার ব্যাপারে মোটিভেট করছেন।
[৭] পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, তিনিও ব্যস্ত তার বাহিনী নিয়ে। টহল বাড়ানো হয়েছে, মাস্ক পরিধান ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মানুষকে বুঝ-পরামর্শ দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
[৮] সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ জানালেন, স্বাস্থ্য বিভাগ সদা সতর্ক অবস্থায়। সদর হাসপাতালসহ গোটা জেলার চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে কাজ করছেন ১২৫ জন ডাক্তার ও ২২৭ জন নার্স এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী।
[৯] কথা হলো এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এহসানুল হকের সঙ্গে। তিনি জানালেন, করোনা সংক্রমণ রোধ এবং সরকারি অন্যান্য নির্দেশনা পালনে তার দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রস্তুত।
[১০] সদর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা মো. রাশেদুর রহমান জানিয়েছেন, জেলার সব ইউএনও জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছেন।