মাসুদ আলম: [২] আনসার আল ইসলাম’ এর আধ্যাত্মিক নেতা মাহমুদ হাসান ওরফে গুনবী চলতি বছরের মে মাসের প্রথম দিকে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান। তিনি কুমিল্লা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার দুগর্ম এলাকায় আত্মগোপন করেন। জুনের শেষের দিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পুনরায় স্থান পরিবর্তন করে বান্দরবানে অবস্থান নেন। সেখানে ২-৩ দিন অবস্থান করেন। এরপর কয়েকবার তিনি অবস্থান পরিবর্তন করে দেশ ত্যাগের পরিকল্পনা করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শাহ আলী থানার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে গুনবীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। উদ্ধার করা হয় উগ্রবাদী বই ও লিফলেট।
[৩] শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, তার কাজ ছিল মাদরাসাছাত্র ও অন্য ধর্ম থেকে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করা সদস্যদের ‘মনস্তাত্ত্বিক অনুশোচনা’ জাগ্রত করা। গুনবী প্রথমে হুজির সঙ্গে যুক্ত ছিল। পরবর্তীতে জসিম উদ্দিন রহমানির সঙ্গে তার পরিচয় সূত্রে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। ওই ঘনিষ্ঠতার সূত্রে সে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। জসিম উদ্দিন রাহমানি গ্রেপ্তারের পর গুনবি উগ্রবাদীত্ব প্রচারক হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করে।
[৪] তিনি আরও বলেন,গুনবি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েকটি মাদরাসায় খণ্ডকালীন, অতিথি বক্তা বা দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষকতা বা পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। ওই মাদরাসায় সম্পৃক্ত হয়ে জঙ্গিবাদের বিস্তৃতি ঘটিয়ে ।