শাহীন খন্দকার:[২] আজ শুক্রবার রাজধানীর কাঁটাবন মার্কেট অ্যাকুরিয়াম অ্যান্ড পেট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান শিকদার বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউন চলাকালে মার্কেট বন্ধ থাকায় দোকানে মারা গেছে শোভাবর্ধক মাছ, পশু ও পাখি।
[৩] তিনি বলেন, গত ১৪ দিনে আমাদের এখানে কয়েকশ অ্যাকুরিয়ামের মাছ, পোষা পাখি ও পশুর প্রাণহানি ঘটেছে। আসলে এসব পশু, পাখিরা তো আলো বাতাস ছাড়া থাকতে পারে না। আমরা কেবল দুই ঘণ্টা দোকান খোলা রেখে তাদের খাবার দিতে পেরেছি। এর মাঝেই আমাদের অনেক কর্মচারীদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কী পরিমাণ পাখি, পশু ও রঙিন মাছ মারা গেছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই মুর্হুতে নির্দিষ্ট করে সংখ্যা বলা যাবে না।
[৪] বজলুর রহমান বলেন, তবে কয়েকশ পাখি, পশু ও রঙিন মাছ মারা গেছে। এতে সবমিলিয়ে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমাদের। প্রাণ হারিয়েছে শখের পোষা পাখি, পশু ও মাছ। তিনি জানান, গত ১ জুলাই থেকে বাজার বন্ধ হওয়ার পর ৪০০ পাখি, কয়েক ডজন কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, ইঁদুর এবং গিনিপিগ মারা গেছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পশু পাখি অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
[৫] কাঁটাবন পেট গ্যালারির স্বত্বাধিকারী নাহিদুল ইসলাম বলেন, পোষা প্রাণির খাবার সবখানে পাওয়া যায় না। আর এসব খাবার না পেলে এসব প্রাণি মারা যাবে। তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আমাদের দাবি লকডাউন চলাকালে খাবারের দোকানসহ পোষা প্রাণির দোকানগুলো যেন খোলা রাখা হয়। তা-না হলে বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
[৬] এদিকে গত ১৩ জুলাই থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত চলমান বিধিনিষেধকালে রাজধানীর কাঁটাবন মার্কেটে বিদ্যমান জীবন্ত শোভাবর্ধক মাছ ও পশু-পাখির জীবন রক্ষার উদ্যোগ নেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান