শাহীন খন্দকার: [২] দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এক কোটি ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৭৮ ডোজ। এগুলো পুরোটাই দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। এখন পর্যন্ত ভারত থেকে দেশে ভ্যাকসিন এসেছে মোট ১ কোটি ২ লাখ ডোজ। সেই হিসাবে কোভিশিল্ডের টিকা মজুত আছে আর মাত্র ৭০ হাজার ৫৬৭ ডোজ।
[৩] বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ২৩ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫৫ জনকে।
[৪] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্যমতে, প্রথম ডোজ নেওয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার ২৩ জনের মধ্যে ১৪ লাখের মতো মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছ সংকট। এদের সবাইকেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকারই দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। কেননা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও দুই কোম্পানির দুই ডোজের টিকা গ্রহণের কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি।
[৫] এদিকে আজ বৃহস্পতিবার গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সিনোফামর্’ এর প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ১৯,৭৮৯ জনকে । এর মধ্যে পুরুষ রয়েছে ১১,৭৮৫ এবং নারী ৮ হাজার ৪জন। এ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ২৩৬৭৬ ডোজ টিকা, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২২৩৭ জনকে। এছাড়া ফাইজারের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৭৫২ জনকে। এখনও পর্যন্ত এই টিকা দেওয়া হয়েছে মোট ৬ হাজার ৭৬২ জনকে। এছাড়া এ ফাইজারের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ১১ জনকে। এখনও পর্যন্ত এই টিকা দেওয়া হয়েছে মোট ৯ হাজার ৭৭৩ জনকে।
[৬] উল্লেখ্য, দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। টিকা সংকট দেখা দেওয়ায় ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর ২ মে’র পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় টিকার জন্য নিবন্ধন।