মনিরুল ইসলাম: [২] লকডাউনে কাঁটাবনের খাঁচায় বন্দি প্রাণিরা বন্দি জীবনের ফাঁদে। বন্দী জীবনে হাঁসফাঁস করছে পশুপাখিরা।
[৩] দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনে কাঁচাবাজার সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা। অথচ মাত্র ৩০ মিনিট কাঁটাবনের পশুপাখির দোকান খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দোকান খুলে প্রাণীদের খাবার দেওয়া ও থাকার জায়গা পরিষ্কার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান এক দোকানী।
[৪] মঙ্গলবার দুপুরে কাঁটাবনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের শাটার লাগানো। তবে কিছু কিছু দোকানের কোলাপসিবল গেট লাগানো থাকলেও শাটার খোলা। দুই-একটা দোকানের সামনে দোকানীরা ঘোরাঘুরি করছেন।
[৫] এক দোকানী হাসেম বলেন, প্রাণীদের খোলা আলো-বাতাসের দরকার হয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে সাড়ে ২৩ ঘণ্টা দোকান বন্ধ রেখে শুধু ভেতরে ফ্যান চালিয়ে তাদের ভালো রাখা সম্ভব না। বাসায় গিয়ে ঘুমাতে পারি না। না জানি কেমন আছে ওরা। স্বাভাবিক সময়ে রাতে কিছু সময় সাধারণত তাদের বন্দি রাখা হয় কিন্তু লকডাউনের কারণে আধাঘণ্টা বাদে পুরো সময়টা বন্দি পশুপাখিরা। পরিচর্যার সময়টা একটু বাড়িয়ে দেওয়া দাবি করেন তিনি।
[৬] তিনি বলেন, কয়েকদিনে বৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া কিছুটা ঠাণ্ডা। তবে গরম বাড়লে ভেতরে ভ্যাপসা গরমে অসুস্থতা বাড়বে পাখিদের।
আপনার মতামত লিখুন :