আল-আমীন : [২] সম্প্রতি গৌরীপুরে অজ্ঞান পার্টির চক্রের অভিনব কায়দায় অটোচালককে অজ্ঞান করে অটো ছিনিয়ে নেওয়ার পর হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
[৩] গত ১২ এপ্রিল গৌরীপুর কলতাপাড়ায় অটোচালক শাহিনুর ইসলাম (৫২) প্রতিদিনের ন্যায় সকালে অটো নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়। স্বাভাবিকভাবে রাতে ফেরার কথা থাকলেও সেদিন বাড়ী ফেরে নাই।
[৪] পরের দিন তার স্ত্রী বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে কোথাও না পেয়ে গৌরীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। গত ১৬ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে অটোচালক শাহিনুর ইসলামের নিখোজেঁর খবর। এ খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা সংস্থা পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামানের নির্দেশে ছায়া তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। একটি সূত্রে জানতে পারে একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃতদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পরে আছে। অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ শনাক্তে স্ত্রী ভাইসহ আত্মীয়- স্বজনরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
[৫] এই ঘটনার সূত্রে গত ১৯ এপ্রিল গৌরীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে অপরাধ চক্রের নানা চিত্র। দীর্ঘ তদন্তকালে অপরাধ চক্রটিকে শনাক্ত করে গ্রেফতারে সক্ষম হয়। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজের ছবি দেখে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়। অপরাধ চক্রের ৪ সদস্যকে গত ১ জুলাই রাতে গাজীপুরের হোতাপাড়া থানার মনিপুর বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
[৬] এসময় আসামীদের কাছ থেকে ২টি অটো, ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ২ জন মহিলা ২ জন পুরুষ রয়েছে। আসামীরা কুড়িগ্রামের মোঃ খোরশেদ আলম (৩৬), নেত্রকোনার বকুল মিয়া (২৫), নান্দাইলের মোছাঃ শেফালী বেগম (৩০), নেত্রকোনার মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার (২৬) কে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
[৭] অটোচালক হত্যায় জড়িত ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ঘটনা সংঘঠিত হওয়ার আগে ওৎ পেতে কৌশলে বয়স্কদের চিহ্নিত করে বয়স্কদের। নিরব স্থানে জন্য রিজার্ভ করে অটো। পথিমধ্যে তারা সকলেই জুস জাতীয় পানি পান করে। সেই সাথে অটো চালককেও নেশাজাতীয় দ্রব্য জুস খাওয়ানোর পর অজ্ঞান অবস্থায় তাকে হত্যা করে অটো ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
[৮] এছাড়াও এ চক্রের হাতে গত ২৬ জন নান্দাইল এলাকায় অবিনব কায়দায় একটি অটো রিজার্ভ করে পথিমধ্যে চালককে চেতনা নাশক খাবার খাওয়ায়ে অটোটি ছিনিয়ে নেয়। অজ্ঞান অবস্থা থেকে স্বাভাবিক হলে অটো চালক হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে। অটো চালক এ
[৯] ঘটনায় মোঃ সাইদুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে নান্দাইল থানায় ১ জুলাই মামলা করেন। মামলা নং-০১। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল জানান অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
[১০] এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান জানান যে কোন অপরাধ চক্র আমাদের নজরে রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। সম্পাদনা : সাদেক আলী