শিরোনাম
◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা

প্রকাশিত : ০২ জুলাই, ২০২১, ০২:০৮ রাত
আপডেট : ০২ জুলাই, ২০২১, ০২:০৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চিররঞ্জন সরকার: ‘গৌরবের একশ বছর’ বলে নিজের প্রতিষ্ঠানের গুণকীর্তন করা মানেই হলো অন্য প্রতিষ্ঠানকে খাটো করে দেখা

চিররঞ্জন সরকার: জন্ম হোক যথা তথা, কর্ম হোক ভালো। মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্য দিয়ে। আধুনিক সমাজে মনুষ্যত্বকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরা, সমাজ-সভ্যতা, জীব-বৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রকৃতির জন্য অবদান রাখতে পারাই আসল কথা। এটা তথাকথিত কোনো নামি-দামি প্রতিষ্ঠানের অংশ হিসেবে যেমন করা যায়, অখ্যাত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থেকেও করা যায়। আবার কোনো ধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত না থেকে ব্যক্তিগতভাবেও করা যায়। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পালন করা হচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে আমি কোনো উত্তেজনা, গর্ব-অহঙ্কার কিংবা অনুশোচনা-কিছুই বোধ করছি না। আমি যদি কাউখালি কিংবা ভুরুঙ্গামারী কলেজে লেখাপড়া করতাম, তাতেও আমার মনোভাবের কোনো পরিবর্তন হতো না। আবার কেমব্রিজ, হারভার্ড কিংবা অক্সফোর্ডের শিক্ষার্থী হলেও বিরাট কিছু হয়ে যেতাম-এমনটা মনে করি না। প্রতিষ্ঠানের শ্রেষ্ঠত্ব আরোপ- এটা একটা অসুস্থ ধারণা বলে আমার কাছে মনে হয়।

‘গৌরবের একশ বছর’ বলে নিজের প্রতিষ্ঠানের গুণকীর্তন করা মানেই হলো অন্য প্রতিষ্ঠানকে খাটো করে দেখা। অনেকেই এই ‘গৌরবের’ পক্ষে হাজারটা কারণ দর্শাতে পারেন। আবার ‘গৌরব’ করার বিপক্ষে আমিও অন্তত ৯৯৯টা শক্ত কারণ উল্লেখ করতে পারি। আমি মনে করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যা করা উচিত তা হলো, কোথায় যাওয়ার কথা ছিলো, আর কোথায় এসে ঠেকেছি, এ বিষয়ে আলোচনা করা। ‘গৌরবের একশ বছর’, ‘আমাদের অহঙ্কার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’- এ জাতীয় ফালতু আবেগে গা না ভাসিয়ে, মনুষ্যত্ব, সমাজ, প্রাণ-প্রকৃতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি কী করতে পেরেছে, আর কী করতে পারে- এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হওয়া উচিত। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়