গোলাম সারোয়ার:[২] জেলার আশুগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়ের করা মামলাকে মিথ্যা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকার সংক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
[৩] বুধবার (৩০ জুন) সকালে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সিনিয়র সহসভাপতি নাজমুল হক সুমন চৌধূরী।
[৪] লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধূরী কর্তৃক এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিকভাবে আমাদের ঘায়েল করতে না পেরে নানা ধরনের হয়রানিতে লিপ্ত। সম্প্রতি দক্ষিন তারুয়া গ্রামে চেয়ারম্যানের ভাই ইমান উদ্দিনের একটি পুকুরে মাছ মরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে আমাকেসহ আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
[৫] আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই ঘটনার সময়ে আমি ও আমার কোন লোকজন ঘটনাস্থলে ছিলাম না। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের ফন্দি করে আমাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তার কারণ এলাকার সাধারণ লোকজনকে ফাসিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও চেয়ারম্যান উপজেলার শাহ ফরাসত আলী উচ্চ বিদালয়ের সভাপতি থাকাকালীন অবৈধ উপায়ে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। এসব ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানানো হয়।
[৬] এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক জোসনা চৌধূরী, সোলেমান চৌধূরী, আবু বকরসহ এলাকার মুরুব্বিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধূরী জানান, ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সুমন চৌধুরী ও তার লোকজন আমি আমার পরিবারের প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে একের পর এক মামলা দায়ের করে চলেছে।
[৭] সম্প্রতি ২৭ জুন দিবাগত রাতে সুমন চৌধূরীর ভাই ইমরানসহ আরো বেশ কয়েকজন আমার ছোটভাই ইমান উদ্দিনের একটি পুকুরে বিষ ঢেলে দিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে। এই বিষয়ে আমার ছোট ভাই বাদি হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। অন্য অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন এইসব আমার বিরুদ্ধে ষরযন্ত্র। বাস্তবের সাথে এসব কথার কোন মিল নেই। সামনে ইউপি নির্বাচন তাই আমাকে ঘায়েল করার জন্য এসব অভিযোগ।