নুরনবী সরকার: [২] লালমনিরহাটের সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর বসুনিয়াটারী এলাকার জুলেখা বেগম (৩০) হত্যাকান্ডের রহস্য বের করেছে পুলিশ। বিয়ের চাপ দেয়ায় তাকে হত্যা করে প্রেমিক বিধান চন্দ্র বর্মন। লাশ একদিন ঘরে রেখে পরে পাটক্ষেতে ফেলে দেয় প্রেমিক বিধান ও তার সহযোগি সুকুমার চন্দ্র বর্মন। এ ঘটনায় বিধান চন্দ্র বর্মন ও সুকুমার চন্দ্র বর্মণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
[৩] গত ২৪ জুন রতিপুর বসুনিয়াটারী এলাকায় পাটক্ষেত থেকে জুলেখা বেগমের লাশ উদ্ধার করেন সদর থানা পুলিশ। জুলেখা বেগম ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে বলে জানা গেছে। সোমবার বিকালে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৪] পুলিশ সুত্রে জানা যায়, জুলেখা বেগম (৩০) প্রথম স্বামীর সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ হলে পাশ্ববর্তী জেলা কুড়িগ্রামে তার ২য় বিয়ে হয়। জুলেখা বেগম বিয়ের পর জানতে পারে তার ২য় স্বামীর তিনি ৬ষ্ঠ স্ত্রী। পরে জুলেখা বেগম মায়ের বাড়িতে থাকা শুরু করেন। এ সময় পাশ্ববর্তী রতিপুর মন্ডল পাড়া এলাকার দীনেশ চন্দ্র বর্মনের পুত্র বিধান চন্দ্র বর্মন (২৬)’র সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সুত্র ধরে প্রেমের সৃষ্টি হয়। বিধানের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় গত ২১ জুন রাতে জুলেখা বেগম বিধান চন্দ্র বর্মনের বাড়ি আসে এবং রাত্রী যাপন করেন।
[৫] পরের দিন ২২ জুনও জুলেখা বেগম বিধান চন্দ্র বর্মনের বাড়ি এসে রাত্রী যাপন করেন এবং ভোর বেলা বিধানকে ঘুম থেকে ডেকে বিয়ের চাপ দেয়। বিধান চন্দ্র বিয়ে করতে রাজি না হলে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পযার্য়ে বিধান চন্দ্র জুলেখা বেগমকে হত্যা করে লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। ২৩ জুন রাতে বিধান তার কর্মচারী সুকুমার চন্দ্র বর্মণকে বাড়িতে ডেকে এনে তার সহযোগিতায় জুলেখা বেগমের লাশ পাশ্ববর্তী পাটক্ষেতে লুকিয়ে রাখে। ২৪ জুন স্থানীয় লোকজন ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে জুলেখা বেগমের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
[৬] লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহ আলম জানান, লাশ উদ্ধারের পর থেকে আমরা নানা ভাবে তদন্ত শুরু করি। সন্দেহ জনক ভাবে আমরা জুলেখার প্রেমিক বিধান চন্দ্র ও তার কর্মচারী সুকুমার চন্দ্রকে গ্রেফতার করলে ঘটনার ৪৮ ঘটনার মধ্যেই এ হত্যাকান্ডের রহস্য বের করতে সক্ষম হয়েছি।