শাহীন খন্দকার, সাজিয়া আক্তার: [২] খুলনায় শনাক্ত ১৩২২, মৃত্যু ২৭; রাজশাহীতে শনাক্ত ৮৭১, মৃত্যু ১৬; রংপুরে শনাক্ত ৩৩৬, মৃত্যু ১০; ঢাকায় শনাক্ত ২১৯৬, মৃত্যু ২৫; চট্টগ্রামে শনাক্ত ৭০৩, মৃত্যু ২৩।
[৩] দেশে করোনা পরিস্থিতি আবারও ভয়াবহ রূপ নিতে চলেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয় ২৮ হাজার ২৪৭ টি। আর পরীক্ষা হয়েছে ২৭,৬৫৩ এপর্যন্ত ৬৪ লাখ ৬৩১১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এপর্যন্ত শনাক্ত ৮ লাখ ৭৮,৮০৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ্য হয়েছেন, ২,৭৭৬ জন এপর্যন্ত ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫৯ জন সুস্থ হয়েছেন।
[৪] গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা গত ১৯ এপ্রিল, মারা যান ১১২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৯৭৬ জনের। মৃতদের মধ্যে ৭৫ জন পুরুষ ও নারী ৩৩ জন।
[৫] সরকারী হাসপাতালে ৮৩ জন, বেসরকারীতে ১৪ জন ও বাড়িতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৯৯৫ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭১ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ৩ হাজার ৯৮১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
[৬] বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১০৮ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বছর বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী দ্’ুজন, ত্রিশোর্ধ্ব সাতজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৫ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৫৮ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৬ জন, খুলনা বিভাগে ২৭ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।