লিহান লিমা: [২] ব্রাসেলসে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সম্মেলনে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আমন্ত্রণের প্রস্তাব দেন। অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান ক্রুজ এই দুই নেতার সঙ্গে একমত হলেও বাল্টিক রাষ্ট্র-পোল্যান্ড, সুইডেন ও নেদারল্যান্ড পুতিনের সঙ্গে আলোচনার তীব্র বিরোধীতা করে। ইউরোনিউজ
[৩] মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার পর ফ্রান্স ও জার্মানির কাছ থেকে এই প্রস্তাব আসে। দেশ দুটি বলছে, মস্কোর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি ও শক্তি, স্বাস্থ্য, সন্ত্রাসবাদ ও সংঘবদ্ধ অপরাধ মোকাবেলার মতো অনেক কাজ একসঙ্গে করার রয়েছে।
[৪] মের্কেল বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে কিভাবে কাজ করা যায় সেটি নিয়ে আমরা কথা বলেছি। তবে দেশটির সঙ্গে নেতৃত্ব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে কোনো সমঝোতা হয় নি।’ এর আগে মের্কেল রাশিয়ার সঙ্গে ইইউ’র বৈঠকের গুরুত্বের পক্ষে বলেছিলেন, ‘আলোচনাই দ্বন্দ্ব নিরসনের সর্বোত্তম উপায়।’ ম্যাক্রোঁও বলেন, ইউরোপীয় মহাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ।’
[৫] ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করার পর থেকে দেশটির সঙ্গে ইইউ’র কোনো আলোচনা হয় নি। এছাড়া সম্প্রতি দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে কারাদণ্ড দেয়া নিয়ে ইইউ’র সঙ্গে মস্কোর শীতল সম্পর্ক চলছে।
[৬] লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাউসেদা বলেন, ‘রাশিয়া নিজের আচরণে পরিবর্তন আনা না পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে বৈঠক আমাদের সহযোগীদের কাছে ভুল বার্তা দেবে।’ নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট বলেন, পুতিনের সঙ্গে ইইউ’র সরাসরি বৈঠক তিনি বয়কট করবেন। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউজ মোরাউইকজি বলেন, ‘রাশিয়া নিজেদের আগ্রাসী রাজনীতি বন্ধ করলেই কেবলমাত্র সম্মেলন সম্ভব।’