শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০২১, ০২:২৬ রাত
আপডেট : ২৫ জুন, ২০২১, ০৮:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের হারে শীর্ষে খুলনা, এরপরই রাজশাহী

মারুফ হাসান : করোনায় মোট মৃতের ৫৩ শতাংশের বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে খুলনা এবং রাজশাহী বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৩ জন এবং রাজশাহীতে ২০ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২২ জুন ও ১৭ জুন খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্তের হার ছিল। মাত্র একদিনের ব্যবধানে ফের করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের হারে শীর্ষে উঠে এসেছে খুলনা বিভাগ।

বিভাগে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে। শয্যা সংকটের কারণে খুলনা করোনা হাসপাতালে ফ্লোরে রেখে সেবা দিতে হচ্ছে রোগীদের।

এছাড়া ২৩ জুন কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটির এক সভায় সারাদেশে ১৪ দিনের সম্পূর্ণ শাটডাউনের সুপারিশ করা হয়। এটি না করলে করোনা সংক্রমণ আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে খুলনা বিভাগে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। মারা যাওয়া ৮১ জনের মধ্যে ২৩ জনই খুলনা বিভাগের। এছাড়া রাজশাহীতে ২০ জন, ঢাকায় ১৩ জন, রংপুরে ৭ জন, চট্টগ্রামে ৭, সিলেটে ৫, বরিশালে ৩ ও ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৩৩৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ হাজার ২৮টি। নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৮ জনের। মোট নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার সবচেয়ে বেশি খুলনা বিভাগে। এরপরই রংপুর বিভাগ। খুলনা বিভাগে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ১১ শতাংশ, রংপুরে করোনা শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ২১ দশমিক ৫২ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ২১ দশমিক ০৪ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯ দশমিক ০২ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ১৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ ও ঢাকা বিভাগে ১৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, খুলনায় মানুষকে সচেতন করতে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে। লকডাউনে যেহেতু মানুষ ঘরের বাইরে বের কম হচ্ছে, জনসমাগম কম হচ্ছে। সেহেতু সংক্রমণ কমে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি আমরা।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা বলেন, মাস্ক পরিধানের বিকল্প নেই। সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা সংক্রমণ কমানো সম্ভব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়