আফরোজা সরকার: [২] আদালতের নির্দেশে কলেজছাত্রী ইশরাত জাহান মিমের দাফনের ১৫ দিন পর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মলিহা খানমের উপস্থিতিতে পুলিশ লাশ উত্তোলন করেছে। এ সময় মিমের স্বজনরা উপস্থিতিতে বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে রংপুর নগরীর মুন্সীপাড়া কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
[৩] বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, রংপুর মহানগর পুলিশের পরশুরাম থানার ওসি (তদন্ত) আবু মুসা সরকার লাশ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
[৪] পুলিশ ও নিহত কলেজছাত্রী মিমের স্বজনরা জানিয়েছেন, গত ৭ জুন নগরীর ৪ নং ওয়ার্ডের কুকরুল দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল মালেকের মেয়ে ও রংপুুুর সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান মিমকে প্রতিবেশী বান্ধবী আইভি আক্তার ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তার কোনো সন্ধান মেলেনি। পরের দিন ৮ জুন বাড়ির অদূরে পরিত্যক্ত একটি পুকুর থেকে মিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের মরদেহ ময়না তদন্ত না করেই দাফন করা হয়।
[৫] অন্যদিকে মিমকে হত্যার অভিযোগ এনে রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে মামলা দায়ের করেন নিহত তায মা নার্গিস বেগম।
বিষয়টি আমলে নিয়ে আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করার আদেশ দেন।
[৬] আদালতের আদেশ অনুযায়ী বেলা ১২ টার দিকে নগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থান থেকে নিহত কলেজ ছাত্রী মিমের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত মিমের বান্ধবী আইভি, তার ভাই মুন্না ও তার বন্ধু আল আমিন টাইগারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
[৭] এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা পরশুরাম থানার এস আই আলতাফ হোসেন সাংবাদিক দের বলেন , ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই হত্যার কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে স্বজনরা দাবি করেছেন মিমকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ কারণে আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।