রাশিদ রিয়াজ : ৭০ হাজার ফুট উঁচুতে উড়বে ড্রোনটি। সর্বনিম্ন গতি সেকেন্ডে ১ ফুট। নজরদারি করবে সেনাদের গতিবিধি ও পরিবেশ দুর্গত এলাকাগুলো। তবে এটি উড়তে শুরু করবে ২০২৫ সাল থেকে। সেন্সর, ক্যামেরা ও যন্ত্রাংশ মিলে ১৫ কেজি ওজন বহন করতে সক্ষম ড্রোনটি। টানা দিন রাত মিলিয়ে কুড়ি মাস পর্যন্ত উড়তে সক্ষম ড্রোনটি। স্ট্র্যাটোস্ফেয়ারে (ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬০ কিলোমিটার উচ্চতায়) অবস্থানের পাশাপাশি দুই সপ্তাহের মধ্যে বিশে^র যে কোনো স্থানে পৌঁছাতে পারবে ড্রোনটি। বন, বরফময় স্থানে একটানা অবস্থান ও অবস্থান পাল্টিয়ে অনবরত তথ্য চিত্র পাঠাবে ড্রোনটি। ড্রোনটির পাখার দৈর্ঘ ১১৫ ফুট। ফলে এটি সহজেই বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারবে। পৃথিবীর কক্ষপথে বিকল্প উপগ্রহ হিসেবে কাজ করতে পারবে ড্রোনটি। ডেইলি মেইল
ড্রোনটির নাম রাখা হয়েছে পিএইচএএসএ-৩৫। বিএই সিস্টেম এটির নির্মাতা। দিনে কিছুক্ষণ ছোট ব্যাটারি চার্জের পর তা সারারাত বা অনবরত উড়তে পারে। ফলে সহজেই দীর্ঘ অভিযানে এটি ব্যবহারযোগ্য। ড্রোনটির মোট ওজন দেড়শ কেজি। কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জরুরি পরিস্থিতিতে সেনাদের একে অপরের সাথে কথা বলা বা গ্রামীণ অবস্থানগুলিতে ইন্টারনেট সুবিধা সরবরাহ করতে পারবে ড্রোনটি। উপগ্রহ ব্যবস্থাপনার চেয়ে কম খরচে এটি পাওয়া যাবে কিন্তু সুবিধা পাওয়া যাবে উপগ্রহের মতই। মোবাইল ইন্টারনেট যোগাযোগ, সীমান্ত রক্ষা, সমুদ্র সীমা পর্যবেক্ষণে ড্রোনটি কাজে লাগবে। উপগ্রহ থেকে নির্দিষ্ট সময়ে অনেক বেশি রেজুলেশনের ছবি পাওয়া গেলেও ড্রোনটি ধারাবাহিকভাবে যে কোনো সময়ে ছবি পাঠাতে পারবে।
গত বছর অস্ট্রেলিয়াতে এর পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন শেষ হয়। এখন ড্রোনটি স্ট্র্যাটোস্ফেয়ারে উড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। এবং যুক্তরাষ্ট্রে আগামী গ্রীষ্মে এ উড্ডয়নের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ড্রোনটি সামরিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে। এমনকি দাবানল নিয়ন্ত্রণে এটি কাজে লাগবে কারণ বনের আকাশে অবস্থানের সময় গাছপালার ওপরে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সম্পর্কে তথ্য পাঠাবে যা দেখে আগুণ লাগার শঙ্কা আছে কি না তা বোঝা যাবে। দুর্যোগের সময় কোন কোন এলাকায় ত্রাণ প্রয়োজন, সীমান্ত ও সমুদ্র সীমা রক্ষায় ড্রোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আপনার মতামত লিখুন :