স্বপন দেব: [২] বড়লেখায় স্বামীর নির্যাতনে সুমা রানী দাস নামের এক গৃহবধূর কীটনাশক পানে সোমবার (২১ জুন) সকালে মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত সুমার স্বজনরা তার স্বামী মোহনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন।
[৩] পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার মর্গে পাঠিয়েছে। গত রবিবার (২১ জুন) সুমা স্বামীর বাড়িতে কীটনাশক পান করেন। নিহত সুমা পৌর শহরের তেলিগুল গ্রামের মোহন দের স্ত্রী।
[৪] সুমার স্বজন সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে বড়লেখা পৌরসভার তেলিগুল গ্রামের মহানন্দ দে এর ছেলে মোহন দের সঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়া নয়াগাঁও গ্রামের গণেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে সুমা রানী দাসের (২১) বিয়ে হয়। পরিবারে তাদের এক সন্তানও রয়েছে।
[৫] রবিবার (২০ জুন) সকালে সুমা স্বামীর বাড়িতে কীটনাশক পান করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
সোমবার (২১ জুন) সকালে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুমা মারা যান। পরে স্বজনরা তার লাশ বড়লেখা থানায় নিয়ে যান। সেখানে সুরতহাল শেষে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
[৬] নিহত সুমার মামা অতুল দাস ফোনে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে ভাগ্নিকে তার স্বামী প্রায়ই নির্যাতন করতো। মোহন মাদকাসক্ত ছিল। এই বিষয় নিয়ে অনেকবার পারিবারিকভাবে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু সুমার স্বামী শুধরাননি। রবিবার সুমার শ্বশুর বাড়ির আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি সুমা বিষ পান করেছে। এর আগে সকালে তার স্বামী তাকে নির্যাতন করে করেছে। এরপর সুমা বিষ পান করে।’
[৭] বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার সোমবার বিকেলে বলেন, ‘এই ঘটনায় তার পরিবার থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :