শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ১৯ জুন, ২০২১, ১২:২৩ রাত
আপডেট : ১৯ জুন, ২০২১, ১২:২৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কামরুল হাসান মামুন: গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রচুর বরাদ্দ লাগবে

কামরুল হাসান মামুন: বাংলাদেশ একটি ট্যালেন্টস হন্তা দেশ। এর শ্রেষ্ট উদাহরণ হলো আমাদের জামাল নজরুল ইসলাম। এতো বড় বিজ্ঞানী সাম্প্রতিক ইতিহাসে আর দ্বিতীয় কেউ নেই। তিনি ১৯৮৩ সালে স্বেচ্ছায় বাংলাদেশে চলে আসেন। তার ফিরে আসাকে আমি দেখি স্বেচ্ছায় নিজের ট্যালেন্টসকে বলি দেওয়া। দেশে ফিরে তিনি আর কোনো বড় কাজ করতে পারেননি। আমাদের সরকারেরা বুঝতেই পারেনি কতো বড় একটা সম্পদ স্বেচ্ছায় চলে এসে চট্টগ্রামে গিয়ে পরে রইলো। অথচ তদানীন্তন সরকার চাইলে তাকে ঘিরে একটি বড় গবেষণা ইনস্টিটিউট খুলতে পারতো আর তাকে বলতে পারতো টাকা কোনো সমস্যা না আপনি নিজের মতো করে এটিকে ওয়ার্ল্ড ক্লাস গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলুন। পৃথিবীর তামাম বড় বড় গবেষক জামাল নজরুল ইসলামকে চিনতেন। স্টিফেন হকিং ছিলেন তার বিশেষ বন্ধু এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় রুমমেট। তিনি পারতেন দেশ বিদেশের স্বনামধন্য গবেষকদের স্থায়ীভাবে না হলেও ৩ থেকে ৬ মাসের জন্য ভিজিটিং স্কলার হিসেবে আনতে। চীন স্পেশাল ট্যালেন্টস হান্ট প্রোগ্রাম চালু করে জামাল নজরুল ইসলামদের মতো গবেষকদের চীনে নেওয়ার জন্য। আর তিনি স্বেচ্ছায় এসেছিলেন। শুধুই কী জামাল নজরুল ইসলাম? অধ্যাপক জাফর ইকবালকে কী আমরা ব্যবহার করতে পেরেছি? তিনিও দেশে ফিরে তেমন কোনো গবেষণা করতে পারেননি। কারণ সেই পরিবেশই নেই। তাকে কি ন্যূনতম একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বানানো যেতো না? শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষক হয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেই ভূমিকা রেখে এসেছেন তা এক কথায় অসাধারণ। তাকে যদি বাংলাদেশের কোনো একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি করা হতো আমি নিশ্চিত সেটিকে তিনি অনন্য উচ্চতায় নিতে পারতেন। ড. মাহবুব মজুমদার আরেক সুপার ট্যালেন্টেড মানুষ স্বেচ্ছায় দেশে বাংলাদেশে চলে এসেছে। সে গণিত অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে অনেক কান্ট্রিবিউট করেছে। কিন্তু তেমন গবেষণা করতে পারেনি। কারণ সে পরিবেশ দিতে পারিনি। আরেক সুপার ট্যালেন্টেড হলো ড. আরশাদ মোমেন। সেও স্বেচ্ছায় একদিন বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাকে কী আমরা ব্যবহার করতে পেরেছি?

বর্তমান বিশ্বের সেরা বাংলাদেশি গবেষক হলেন প্রিন্সটনের অধ্যাপক জাহিদ হাসান। আশা করি তিনি হবেন নোবেল বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী পদার্থবিদ। এই জাহিদ হাসান যদি আজ স্বেচ্ছায় বা কোনো কারণে বাংলাদেশে ফিরে আসে কল্পনা করতে পারেন ট্যালেন্টস হত্যা কোনো পর্যায়ের হবে? তার মতো ব্যক্তিও বর্তমান পরিবেশের বাংলাদেশ হলে কিছু করতে পারবে না। অথচ আমরা যদি টাটা ইনস্টিটিউট ফর ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ বা ভারতের ওওঝপ মতো ইনস্টিটিউট খুলে বাংলাদেশি বড় বড় গবেষকদের বছরে অন্তত ৬ থেকে ১২ মাস এসে কাজ করার সুযোগ দেই, দেশি বিদেশি প্রচুর পোস্ট-ডক নিয়োগ দিয়ে ওয়ার্ল্ড ক্লাস পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করি তাহলেই দেশে গবেষণার পরিবেশ তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ বা বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ দিয়ে আমরা বাংলাদেশের ট্যাক্সের টাকায় অন্য দেশে গবেষণার জন্য খরচ করছি। কি অবিবেচক আমরা? এই টাকা দেশে গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টিতে যথাযোগ্য পরিকল্পনার মাধ্যমে খরচ করা যেতো।

বিদেশ থেকে আমাদের স্কলারদের দেশে ফিরিয়ে আনার আগে এখানে ন্যূনতম একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এই হোম ওয়ার্কটা আমাদের যতো দ্রুত সম্ভব করা উচিত। যারা আসবে তাদের জন্য নিয়োগ পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে, গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রচুর বরাদ্দ লাগবে। সবাইকে সমানভাবে মাপলে বিশেষ মানুষ তৈরি হবে না। যে যোগ্য তাকে বেশি সুযোগ দিতে হবে। সকল অধ্যাপকের বেতন এক, সুযোগ সুবিধা এক, সম্মান এক তাহলে হবে না। ব্যতিক্রমী মানুষ তৈরি করতে হলে ব্যতিক্রমীদের জন্য ব্যতিক্রমী নিয়ম করতে হবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়