হ্যাপি আক্তার: [২] ফলো করার দরকার নেই। চাইলেই যে কারওর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এমনকী প্রোফাইল প্রাইভেট করা থাকলেও তার আর্কাইভ করা পোস্ট, স্টোরি, রিল এবং আইজি টিভি জানা সম্ভব। অর্থাৎ প্রায় হাতের মুঠোয় যে কোনও ইনস্টাগ্রাম ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য। ফলে সমস্যায় পড়তে পারতেন কোটি কোটি ইউজার। কিন্তু ইনস্টাগ্রামের সেই ভাইরাসকে চিহ্নিত করে দিলেন ভারতীয় এক হ্যাকার। আর সে কারণেই ফেসবুকের পক্ষ থেকে ২২ লাখ টাকা পুরস্কারও পেলেন ময়ূর ফারতাদে নামে মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের ওই বাসিন্দা। প্রতিদিনের সংবাদ
[৩] একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ময়ূর জানিয়েছেন, বহুদিন ধরেই ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রামের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করছিলেন তিনি। একটু গভীরে গিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতেই এই ভাইরাসের বিষয়টি নজরে আসে তার। মিডিয়া আইডি ছাড়াই ওই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, ওই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক থাকা ফেসবুক পেজও হ্যাকাররা অ্যাকসেস করতে সক্ষম হচ্ছিল। এর ফলে, এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বড় ফাঁক তৈরি হয়। এরপরই বিষয়টি ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানায় ময়ূর। তারপরই তারা ময়ূরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সবশেষে ওই ভাইরাসটিকে নিষ্ক্রিয় করার পরই ওই যুবককে পুরস্কারস্বরূপ ২২ লাখ টাকাও দেয়া হয় তাকে।
[৪] জানা গিয়েছে, ফেসবুক বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামের মাধ্যমে গত ১৬ এপ্রিল বিষয়টি মার্ক জুকারবার্গের সংস্থাকে জানায় ময়ূর। এরপর ১৯ এপ্রিল ফেসবুকের পক্ষ থেকে ময়ূরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। সোলাপুরের ওই যুবক সমস্তটা জানিয়েও দেন। তারপর ২৯ এপ্রিল ওই ‘বাগ’টিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর পাশাপাশি ময়ূরকেও ২২ লাখ টাকার পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটের ভুল ধরানোর জন্যও পুরস্কার পেয়েছিলেন টেকস্যাভি এই যুবক। এরপর ফেসবুকের পক্ষ থেকে একটি পোস্টে সে কথা জানানোও হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :