শিরোনাম
◈ ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে একটি যৌক্তিক জায়গায় পৌঁছাতে চায় কমিশন :  অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতা বাড়ছে: শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ও ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি চরমে! ◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩

প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০২১, ০১:২৪ রাত
আপডেট : ১৭ জুন, ২০২১, ০১:২৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আকতার বানু আলপনা: সবার সঙ্গে বুদ্ধিদীপ্ত, দূরদর্শী এবং ন্যায্য আচরণ করুন

আকতার বানু আলপনা: সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারাটা অবশ্যই অবশ্যই একটা বিশেষ ধরনের যোগ্যতা। যার জন্য বুদ্ধি, আন্তরিক চেষ্টা এবং দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গী লাগে, যেটা সবার থাকেনা। আর থাকেনা বলেই অনেকের অনেক সুসম্পর্ক ভেঙে যায় বা নষ্ট হয়। সেই বিশেষ যোগ্যতা আপনার আছে কীনা, সেটা বোঝা যাবে, যদি আপনি আপনার আশপাশের মানুষ, নিকটজন এবং বিশেষত আপনার শ্বশুর/শ্বাশুড়ী বা ছেলের বৌ/মেয়ের জামাইয়ের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারেন বা তাদের সঙ্গে সুমধুর সম্পর্ক রেখে চলতে পারেন। যেকোনো সম্পর্ক ভাঙ্গা বা খারাপ করা খুবই সহজ। কিন্তু কঠিন হলো প্রতিটা সম্পর্ক আন্তরিক, সুন্দর ও উপভোগ্য করে রাখতে পারা। সেজন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। টাকা খরচ করতে হয়। পরিশ্রম করতে হয়। অন্যের মানসিকতা বোঝার এবং সেই অনুযায়ী আচরণ করার চেষ্টা করতে হয়।

আপনার আশপাশের প্রতিটা মানুষের চাহিদা, মতামত, অধিকার, অবদান, প্রয়োজনীয়তা, সুবিধা ইত্যাদি মেনে নিয়ে তাদের প্রতি যথার্থ ও আন্তরিক আচরণ করতে হয়। আমরা নিজের অধিকার, সুবিধা, প্রয়োজন, ইচ্ছা, ভালোলাগা ইত্যাদি খুব ভালো বুঝি। কিন্তু অন্যেরটা একেবারেই বুঝতে চাইনা। সম্পর্ক খারাপ হওয়ার মূল কারণ আসলে এটাই। শ্বাশুড়ি-ননদরা নিজেদের অধিকারের দিকটা ঠিকই বোঝেন। কিন্তু বউদের দিকটা বুঝলেও সেটা মেনে নিতে চাননা। তখন একই কাজ করতে চান বউরাও। আবার স্বামীরা নিজের আপনজনদের জন্য যতোটা করতে আগ্রহী, ততোটা বউয়ের আপনজনদের জন্য করতে আগ্রহী হন না।

এ কারণে বউরাও নিজের আপনজনদের জন্য যতোটা করতে আগ্রহী, ততোটা স্বামীর আপনজনদের জন্য করতে আগ্রহী হন না। স্বামীরা নিজের স্বাধীনতা, ইচ্ছা, বন্ধু, বিনোদন, আরাম ইত্যাদি যতোটা চান, বউয়ের বেলায় ঠিক তার উল্টো। প্রতিটা সম্পর্ক এলে দ্বিমুখী। আপনি ইট না মারলে আপনার পাটকেল খাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর আপনি যদি পাটকেল খেয়ে থাকেন, তাহলে ধরে নেবেন, আপনি অবশ্যই অবশ্যই আগে ইট মেরেছিলেন, কখনো বুঝে, কখনো না বুঝে। ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন। সবার সাথে বুদ্ধিদীপ্ত, দূরদর্শী এবং ন্যায্য আচরণ করুন এবং একা নয়, অবশ্যই অবশ্যই আপনার আশপাশের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকুন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়