খাজা নিজাম উদ্দিন: এক সাবরেজিস্ট্রার বউকে ২ কোটি টাকার ফ্লাট উপহার দিয়েছেন। শালা-শালীদেরও দিয়েছেন। এখন সামান্য তদন্ত চলছে। শেষ পর্যন্ত এসব তদন্তের কী হবে বাংলাদেশের মানুষ তা জেনে গেছে গত ৫০ বছরে। তো টাকাগুলো যদি সেই সাবরেজিস্ট্রারের বাপের হতো, তাহলে ঝামেলা হতো না। টাকাগুলো কার? সেই সাবরেজিস্ট্রারের বাড়ির খবর নিয়ে দেখা গেছে, তার বাপের চৌদ্দগোষ্ঠী এতোটাকা কোনোদিন চোখেও দেখেনি। বিষয় সেটা না। ব্যাপারটা বাংলাদেশে খুব ওপেন সিক্রেট। এই যে ৫০টা বছর যাবৎ একটা দেশে বিরামহীন এবং সীমাহীন দুর্নীতি চলতেছে, সে নিয়ে কারও কোনো আপত্তি নেই। ধর্ষকদের পক্ষে এখন লাখ লাখ সাফাই গাওয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছে। তাদের কথা থেকে যা পরিষ্কার, অনেক ধর্ষকামীরা বলছে, সুযোগ পেলে ধর্ষণ কে না করে? তুমি ধর্ষণ করতে পারতেছো না মানে তুমি সুযোগ পাচ্ছো না। আমাদের দুর্নীতিবাজরা এবং তাদের পরিবার, সন্তানরা এ কথাই গত ৫০ বছর যাবত বলছে, তুমি ঘুষ খাচ্ছো না মানে তুমি ঘুষ পাচ্ছো না। এ কথার সঙ্গে সঙ্গে শিয়ালের মতো হুক্কা হুয়া দেয়ার মানুষ বাড়ছেই। পরিমণির পোস্টে সব ধর্ষকামীদের কমেন্ট নিয়ে অনেকেই লেখেছেন। তারা যেটা লেখছেন না, তা হলো এই কমেন্টই তো করার কথা।
দেশের দুর্নীতিবাজদের সন্তানরা কী করবে? বাপ মা ঘুষ খেয়েছে, অনেক টাকা। তারা তো ধর্ষণের যুক্তি খুঁজবে, খুবই স্বাভাবিক। এদেশের রাজনীতির মধ্যে যেমন দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে, শিক্ষিতরাও দুর্বৃত্তশ্রেণিতে পরিণত হয়েছে। খুব কম শিক্ষিত পাওয়া যাবে, ঘুষ খেতে যে লজ্জা পায়। খুব কম শিক্ষিত পাওয়া যাবে, যার ঘুষখোরের কাছে মেয়ে বিয়ে দেয়ার জন্য দৌঁড়ে যাবে না। প্রতিদিন ৫/৭ টা খুনের খবর থাকে শুধু পরকিয়াজনিত কাহিনীর কারণে। একটা গরিব দেশে যখন ড্রাইভার, পিয়ন, মিটার রিডার, সাবরেজিস্ট্রার, আমলা এসব চাকরিজীবীরা শত কোটি টাকার মালিক হয়, সে দেশে প্রতিদিন খুন, ধর্ষণ, পরকীয়ার প্লাবন, সীমাহীন অপকর্ম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। যদি প্রতিদিন খুন, ধর্ষণ, পরকিয়া, পরকিয়াজনিত খুন না হয়- সেটাই অস্বাভাবিক এই বিরামহীন আর সীমাহীন দুর্নীতির দেশে। ফেসবুক থেকে