আব্দুম মুনিব: [২] কুষ্টিয়া শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের এক এএসআই এর গুলিতে তার দ্বিতীয় স্ত্রী, স্ত্রীর পূর্বের স্বামীর পুত্রসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যার পর তাঁদের লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। ৩ জনকেই দুটি করে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (১৩ জুন) বিকেলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে লাশগুলোর ময়নাতদন্ত করার পর চিকিৎসক এ কথা জানান। লাশ ৩টির ময়নাতদন্ত করেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার। তিনি বলেন, ৩ জনকে দুটি করে ছয়টি গুলি করা হয়েছে। প্রত্যেকের মাথায় কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে।
[৩] হাসপাতাল সূত্র জানা গেছে, প্রথমে শাকিল খানের ময়নাতদন্ত করা হয়। তাঁর মাথার বাম পাশে গুলি করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর ডান পায়ের ঊরুতে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এরপর আসমা খাতুনের ময়নাতদন্ত করা হয়। আসমার মাথা ও গলায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। সর্বশেষে শিশু রবিনের (৬) ময়নাতদন্ত করা হয়। রবিনের মাথায় ও পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে কারও গুলিই পাওয়া যায়নি। গুলিগুলো শরীর ভেদ করে বাইরে চলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রবিনকে দৌড়ে পালানোর সময় পেছন থেকে পিঠে গুলি করা হয়। এরপর পড়ে গেলে তার মাথায় গুলি করা হয়।
[৪] এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কাস্টম মোড়ে আসমা, শাকিল ও রবিনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সৌমেন রায় নামের এক এএসআইকে অস্ত্রসহ আটক করে। তিনি খুলনা ফুলতলা থানায় কর্মরত। তাঁর বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার আসপা গ্রামে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শাকিল খানের বাবা মেজবার রহমান বাদী হয়ে থানায় সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামি করে মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।
সম্পাদনা : মারুফ হাসান