মিনহাজুল আবেদীন: [২] রোববার (১৩ জুন) ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে করিম ও লতিফ বাওয়ানী জুট মিলের চাকরিচ্যুত শ্রমিকবৃন্দ বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) ও পাট মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি পেশকালে এ বক্তব্য রাখেন।
[৩] সমাবেশে নেতৃবৃন্দরা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালের ২ জুলাই রাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকলে উৎপাদন বন্ধের নোটিশ টাঙ্গানো হয়। ফলে বদলি ও দৈনিকভিত্তিক মিলিয়ে এক প্রায় ৫৭ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাটচাষী-পাটশিল্পের ওপর নির্ভরশীল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দোকানদার ও তাদের পরিবারসহ লাখ লাখ মানুষ।
[৪] কর্মচারীদের অভিযোগ, ২০১৯ সালের কয়েকটি সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, ২০২০ সালের ১ ও ২ জুলাই কাজের মজুরি-ঈদ বোনাস, ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন অনুযায়ী ২০১৫-১৯ পর্যন্ত বোনাস ও ছুটির টাকার ডিফারেন্স, বৈশাখী ভাতার টাকা এখনো পাননি। এদিকে ১ বছর ধরে পড়ে থাকায় মিলগুলোর যন্ত্রপাতি, অচল-নষ্ট, জমে থাকা কাঁচামাল-উৎপাদিত পণ্য লুটপাট এবং জায়গা-জমি বেদখল হওয়ার আশংকাও বাড়ছে।
[৫] শ্রমিকদের দাবি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে যাবতীয় পাওনা পরিশোধসহ শ্রমিকদের বাঁচার দাবি বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে তারা।
[৬] শ্রমিকদের ৬ দফা দাবি:
[ক] রাষ্ট্রীয় পাটকলের বদলি শ্রমিকদের সকল বকেয়া পাওনা অবিলম্বে পরিশোধ কর।
[খ] নামের ভুল দ্রুত সংশোধন করে অবশিষ্ট স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা অবিলম্বে পরিশোধ কর।
[গ] ২০১৯ সালের বকেয়া সপ্তাহের মজুরি দিয়ে দাও।
[ঘ] ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন অনুযায়ী গত ৪ বছরের ছুটি ও ৯টি বোনাস, চিকিৎসা-শিক্ষা ভাতার ডিফারেন্স, বৈশাখী ভাতার টাকা পরিশোধ কর।
[ঙ] বেসরকারি পাটকলে ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন কর।
[চ] রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধ নয়, আধুনিকায়নসহ চালু কর। ক্যাজুয়াল ভিত্তিতে নয়, বদলি বা স্থায়ী হিসাবে পুরনো শ্রমিকদের অগ্রাধিকারে নিয়োগ দিতে হবে। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান
আপনার মতামত লিখুন :