আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] শ্রীলঙ্কা হঠাৎ খেয়াল করেছে, ভারতই একমাত্র দেশ নয়, যাদের পকেট ভারী, দ্য ওয়ারের প্রতিবেদন
[৩] শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের দ্বিগুণ। আর বাংলাদেশকেও বিশ^ও দাতা দেশ হিসেবে কখনও বিবেচনা করেনি। কিন্তু এরপরেও কলম্বোর চরমতম বিপদের দিনে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ঢাকা। উন্নয়ন খাত বিশেষজ্ঞদের মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগছে, কিভাবে এটি সম্ভব হলো। দ্য ওয়ার
[৪] ২০০৯ সালে লঙ্কান গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির পর , দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৩ শতাংশ থেকে পরের ৩ বছরে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৮, ৮.৪ ও ৯.১ শতাংশ। কিন্তু এই প্রবৃদ্ধির পেছনে ছিলো সরকারি ব্যয়, যা কোনওভাবেই টেকসই নয়। সরকারি অর্থায়নে সে দেশে গড়ে ওঠে বিশাল বিশাল অবকাঠামো প্রকল্প। এর একটি উদাহরণ, অর্থনৈতিকভাবে অলাভজনক হাম্বানটোটা বন্দর।
[৫] ২০১৫ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধি নেমে আরেস ৫ শতাংশে। আর ২০১৯ সালে ২.৩ শতাংশে। ২০২০ সালে তা দাঁড়ায় -৩.৬ শতাংশ। ২০১০ সালে মোট জিডিপির ৩৯ শতাংশ ছিলো বৈদেশিক ঋণ, ২০১৪ সালে তা ৫৫ শতাংশ আর ১৯ এ ৬৯ শতাংশে চলে যায়। বিশ^ব্যাংকের রিপোর্ট বলছে দেশটি ঋণ টেকসইক্ষমতা নষ্টের ঝুঁকিতে আছে।
[৬] শ্রীলঙ্কাকে মনে করা হতো, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দেশ। আর জন্মের পরেই বাংলাদেশের গায়ে লেগে যায় তলাহীন ঝুঁড়ির তকমা। বাংলাদেশ নিজেদের খুব কম কর আদায়কে মাথায় রেখে কখনই বড় ঘাটতি তৈরি হতে দেয়নি। এটিই দেশটির অর্থনীতির জন্য নিয়ে এসেছিলো ইতিবাচকতা। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ছিলো মোট জিডিপির ৪৪ শতাংশ। ২০১৬ থেকে ১৯ এর মধ্যে তা ১৬ থেকে ১৮ শতাংশে নেমে আসে।
[৭] ঋণের ক্ষেত্রে বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তই বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি জুগিয়েছে। এই শক্তিই বাংলাদেশকে ঋণগ্রহীতা থেকে পরিণত করেছে দাতায়।