মিনহাজুল আবেদীন: [২] দেশে সরকার প্রথম শ্রেণির পৌরসভাগুলোতে একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু বিষয়টির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে।
[৩] বুধবার বিবিসি বাংলায় স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকার যদি পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নেয়, তাহলে সেটি সফল হবার সম্ভাবনা কম। কারণ সক্ষমতা বাড়াতে হয় ভেতর থেকেই। কিন্তু সরকার যদি এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, সেটি সম্ভব হবে না।
[৪] তিনি বলেন, এখন উপজেলাগুলোতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারেরা চেয়ারম্যানদের ঠিক মানতে চান না। আবার সরকার ইউএনওদের কথা শোনে, চেয়ারম্যানদের কথা শোনে না। ঠিক একই জিনিস পৌরসভাতেও হবে।
[৫] সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বেশিরভাগ পৌরসভাতে রাজস্ব আদায়ের কাজটি নিয়মিত হয় না। যে কারণে অনেক পৌরসভাই নিজেদের কর্মীদের বেতন-ভাতা নিজেরা সংস্থান করতে পারে না।
[৬] তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশের ১০টি পৌরসভাতে সিইও হিসেবে ১০ জন সরকারি কর্মকর্তা কাজ করছেন। মূলত পৌরসভার সার্বিক কাজে গতি আনার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
[৭] তথ্য মতে, দেশে এই মুহূর্তে মোট পৌরসভার সংখ্যা ৩২৮টি। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা বলতে সিটি কর্পোরেশনের বাইরে পুরনো ও বড় জেলার পৌরসভাকে বোঝানো হয়, এমন পৌরসভার সংখ্যা ১৯৪।
[৮] এদিকে নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরি বলেন, আমরা সরকারের উদ্যোগ সমর্থন করি, কারণ ৯০ শতাংশ পৌরসভার কর্মীদের বেতন হয় না, বিদ্যুৎ বিল এবং খাজনা বকেয়া। খুবই খারাপ অবস্থা, আগে এগুলো ঠিক করা দরকার। সম্পাদনা: রাশিদ