শিরোনাম
◈ ১৩ নভেম্বর কী হতে যাচ্ছে? ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন, আর স্বনিরাপত্তায় ব্যস্ত নগরবাসী ◈ গণভোটের চেয়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার তৈরি করা বেশি জরুরি: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ চট্টগ্রামে লালদিয়া টার্মিনাল: ৩০ বছরের অপারেশন এপি মুলারের হাতে, বিনিয়োগ হবে ৫৫০ মিলিয়ন ডলার ◈ ইসি’র নতুন নির্দেশনা: প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনে যা যা লাগবে ◈ সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাসায় অভিযান, সাতজন আটক (ভিডিও) ◈ মিয়ানমারের সহিংসতায় নতুন ঢল, ১০ মাসে দেশে ঢুকেছে ১ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা ◈ “গুজবে কান দেবেন না’—লকডাউন ঘিরে নাগরিকদের আশ্বস্ত করলেন ডিবি প্রধান ◈ ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৩৯ ◈ কার্গো ভিলেজে এখনো ধ্বংসস্তূপ: তিন সপ্তাহ পরও সমন্বয়হীনতা তিন সংস্থার মধ্যে ◈ মাইলস্টোন দুর্ঘটনা: সাড়ে তিন মাস চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেন যমজ দুই শিশু

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০২১, ১২:০৩ দুপুর
আপডেট : ০৯ জুন, ২০২১, ১২:০৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিশুর পা বাঁকা রোগ হওয়ার কারণ ও করণীয়

স্বাস্থ্য ডেস্ক: সুস্থ সন্তান প্রত্যেক মা-বাবারই কাম্য। তবে অনেক শিশুরই শারীরিক ত্রুটি থাকে। জন্মগত কিংবা বংশগত কারণ ছাড়াও এর জন্য দায়ী আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা। ডেইলি-বাংলাদেশ

নিশ্চয়ই জানেন, বর্তমানে সারাবিশ্বে করোনা মহামারিতে বেশিরভাগ শিশু ঘরবন্দি সময় কাটাচ্ছে। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ সময়ে শিশুর পা বাঁকা রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ব্যাপারে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাঈমা সুলতানা বলেন, আমরা হাসপাতাল ও চেম্বারে এখন খুব বেশি এ সমস্যাটির মুখোমুখি হচ্ছি। পা বাঁকার মূল কারণকে আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানে রিকেটস বলে থাকি। আসলে রোগটি থেকে শিশুকে সুরক্ষা দিতে হলে সবার আগে রিকেটস কেন হয়, তা জানতে হবে।

শিশুর পা বাঁকা রোগের হার বাড়ার কারণ ও করণীয়

এ বিষয়ে ডা. নাঈমা সুলতানা বলেন, রিকেটস হয় মূলত ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এই সময়েই কেন শিশুদের পা বাঁকার হার বাড়ছে। এই সময়ে রিকেটস বাড়ার কারণ হলো, করোনা মহামারির কারণে বেশিরভাগ শিশু গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ভিটামিন ‘ডি’র মূল উৎস সূর্যের আলো পাচ্ছে না। এর সঙ্গে ক্যালসিয়ামের অভাবেও রিকেটস বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, আপনি খাবার অথবা কৃত্রিমভাবে যেসব ভিটামিন ‘ডি’ শিশুর শরীরে সরবরাহের চেষ্টা করবেন, তার চেয়ে বেশি কার্যকর সরাসরি বাচ্চাকে সূর্যের আলোতে রাখার ব্যবস্থা করা গেলে। কারণ ভিটামিন ‘ডি’র মূল উৎস সূর্যের আলো।

এক্ষেত্রে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে শিশুকে খেলতে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে এ সময় বাচ্চার শরীরে একেবারেই না দিলে নয়, এমন পোশাক রাখতে হবে। বেশি জামা-কাপড়ে ঢাকা থাকলে, সরাসরি বাচ্চার ওপর সূর্যের আলো পড়েব না, ভিটামিন ‘ডি’ও তৈরি হবে না।

ডা. নাঈমা সুলতানা মনে করেন, এখন সূর্যের আলো শিশুর ত্বকে সরাসরি লাগতে না দেয়ার ফলে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর ফলে পা বাঁকা রোগের নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এমন উপসর্গ দেখা গেলে দেরি না করে, তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ শিশু বিশেষজ্ঞকে দেখাতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়