রহিদুল খান : চলতি মওসুমে অতি ক্ষরার কারনে যশোরের চৌগাছা এলাকায় কাঁঠালের ব্যাপক ফলন বিপর্যয় হয়েছে। চাষীদের মাঝে নেমে এসেছে চরম হতাশা। তথ্যানুসন্ধানে জানাযায় চৌগাছা উপজেলায় প্রায় পাঁচশ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল গাছের আবাদ রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর এ উপজেলা থেকে শত শত ট্রাক কাঁঠাল দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বরিশাল,বরগুনা,পটুয়াখালি, খুলনা ও পিরোজপুর এলাকায় চালান যায়। উপজেলার সব ইউনিয়ন গুলোতে কম বেশি কাঁঠাল উৎপাদন হলেও উপজেলার জগদীশপুর, পাতিবিলা হাকিমপুর,নারয়ণপুর ও স্বরুপদাহ ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে ব্যাপক কাঁঠাল উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব এলাকায় এত বেশি পরিমান কাঁঠাল উৎপাদন হয় যে ক্রেতার অভাবে প্রতি বছর বিপুল পরিমান কাঁঠাল গরু ছাগলকে খাওয়ানো হয়ে থাকে। কিন্তু চলতি মওসুমে চৌগাছার হাটবাজারে এখনও কাঁঠালের দেখা নেই বললেই চলে। যা বাজারে আসছে তাও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
উপজেলার বাদেখানপুর গ্রামের কাঁঠাল চাষী চৌগাছা এবিসিডি কলেজের প্রভাষক মাহমুদুল হাসান বলেন আমার কাঁঠাল বাগানে ব্যাপক কাঁঠাল ধরে যা বিক্রি করতে গিয়ে একপ্রকার হিমশিম খেতে হয় কিন্তু চলতি মওসুমে যে পরিমান কাঁঠাল এসেছে তাতে নিজের পরিবারের চাহিদা মেটানোও সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন অন্য বছর একটা কাঁঠাল গাছের গোড়া থেকে মগডাল পর্যন্ত কাঁঠাল ধরে কিন্তু এ বছর প্রতিটি গাছে হাতে গোনা কয়েকটি করে কাঁঠাল ধরেছে।
উপজেলার টেঙ্গুরপুর গ্রামের কালু মোল্ল্যা জানান আমাদের পারিবারিকভাবে বেশ কয়েকটি কাঁঠাল গাছ আছে প্রতি বছর গাছগুলোতে প্রচুর পরিমানে কাঁঠাল ধরে কিন্তু এ বছর গাছে কাঁঠাল নেই বললেই চলে।
চৌগাছা পৌর এলাকার ইছাপুর গ্রামের শহিদুজ্জামান খোকন বলেন আমার কাঁঠাল গাছে এত পরিমান কাঁঠাল ধরে যে বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতা পাওয়া যায়না কিন্তু এ বছর গাছে যা কাঁঠাল এসেছে তাতে অল্প পরিমান বিক্রি করা যাবে। কি পরিমান কাঁঠাল এসেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অন্য বছরের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ কাঁঠাল ধরেছে। উপজেলার লস্করপুর গ্রামের ইয়াকুব আলী জানান তার কাঁঠাল বাগানে খুবই যৎসামান্য কাঁঠাল ধরেছে।
জানতে চাইলে চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, চলতি মওসুমে দীর্ঘদিন ক্ষরা হওয়ার কারনে কাঁঠালের ফলন কম হতে পারে এছাড়া আমাদের দেশের চাষীরা সাধারনত কাঁঠাল গাছের পরিচর্যা করেননা যার ফলে কাঁঠাল উৎপাদনে ধ্বস নামতে পারে।