শিরোনাম
◈ চলতি বাজেটে রাজস্ব খাতে বরাদ্দ বাড়ছে, আগামী বাজেটের রূপরেখা দেবে অন্তর্বর্তী সরকার ◈ খুনিকে দ্রুত জীবিত গ্রেপ্তার চাই, বন্দুকযুদ্ধের নাটক দেখতে চাই না: ইনকিলাব মঞ্চ ◈ আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের দাপট, গোল্ডসহ ১১ পদক অর্জন ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যাখ্যা দেননি. ইনকিলাব মঞ্চ কর্মসূচি দেবে সোমবার ◈ হাদি হত্যা মামলায় নতুন মোড়, সেই ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন ◈ বাংলাদেশের দুর্বল ব্যাংক কিনতে চীনকে প্রস্তাব, সহজ হবে লেনদেন, কমবে ডলারের চাপ (ভিডিও) ◈ চূড়ান্ত হলো বিএনপির ৩০০ আসনের মনোনয়ন, শিগগিরই ঘোষণা ◈ ধ্বংস্তূপ থেকে আবার দেশকে টেনে তুলবে বিএনপি: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে: ইসি ◈ ভারত সফ‌রে মে‌সি ৮৯ কো‌টি টাকা পে‌লেও উদ্যোক্তা শতদ্রু দ‌ত্তের ২২ কোটি টাকা ফ্রিজ করলো তদন্তকারী অ‌ফিসাররা

প্রকাশিত : ০৮ জুন, ২০২১, ১২:০৬ রাত
আপডেট : ০৮ জুন, ২০২১, ১২:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রভাষ আমিন: হাসাহাসি না করে জিঞ্জিরার সব সৃষ্টিশীল মানুষের পাশে যদি দাঁড়াতাম, চীনের মতো না হলেও আমরা অনেকদূর এগোতে পারতাম

প্রভাষ আমিন : হাসাহাসি না করে যদি জিঞ্জিরার ই সব সৃষ্টিশীল মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতাম, চীনের মতো না হলেও আমরা অনেকদূর এগুতে পারতাম। জিঞ্জিরায় নাকি যে কোনো জিনিস নকল করা যায়। নকল করার এই গুণটাকে যদি আমরা একটু ইতিবাচকভাবে কাজে লাগানো গেলে অনেকদূর এগোনো সম্ভব ছিলো। এই যে এখন গ্রামে-গঞ্জে নসিমন-করিমন চলছে, ব্যাটারিচালিত নানান যানবাহন চলছে; এগুলোর কিন্তু কোনো বৈধতা নেই।

কিন্তু মানুষের চাহিদার কারণেই এগুলো বানানো হয়েছে, চাহিদা আছে বলেই চলছে। সরকার যতোই চেষ্টা করুক, যতোদিন চাহিদা আছে, ততোদিন চলবেই। তাই সরকার যদি এগুলোকে বৈধতা দিয়ে, ডিজাইনে পরিবর্তন এনে, ঝুঁকি কমিয়ে রাস্তায় চলার অনুমতি দেয় গাড়ি আমদানি খাতে আমাদের খরচ অনেক কমে যাবে। এভাবেই চাইলে আমরা দেশী শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে আমদানিনির্ভরতা কমাতে পারি। দরকার শুধু সরকারের নীতিসহায়তা। আমাদের দেশের উদ্যোক্তারা অনেক উদ্যমী এবং সৃষ্টিশীল। সাধারণ মানুষের উদ্যোগের সঙ্গে একটু আধুনিক প্রযুক্তির মিশেল দরকার।

একসময় আমরা রপ্তানি বলতে শুধু পাট, চা, চামড়া বুঝতাম। এখন সেখানে তৈরি পোশাক তো যুক্ত হয়েছেই, এসেছে অনেক বৈচিত্র। তৈরি পোশাকে আমরা শুধু সেলাই করি। অনেকে ঠাট্টা করে আমাদের দর্জিও বলে। তাতে যেহেতু পয়সা আসছে, আমার সেখানে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা যদি সত্যি সত্যি দেশী শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে শিল্প পণ্য রপ্তানি করতে পারি, তাহলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও টেকসই এবং মর্যাদাসম্পন্ন হবে।

সরকারের সহায়তা পেলে উদ্যোক্তারা নিজেদের পথ নিজেরাই খুঁজে নেবে। প্রাণ-আরএফএল নিজেদের মতো করে তাদের বাজার খুঁজে নিয়েছে। ওয়ালটন, রানারও বাজার বানিয়ে নিয়েছে। শুধু কর কমালে হবে না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমাতে হবে, ব্যবসা করার পথে বাধাগুলো দূর করতে হবে। আমরা মুখে দেশকে ভালোবাসার কথা বলি। ‘আমার সোনার বাংলা’ গেয়ে চোখ ভেজাই। কিন্তু দেশ নিয়ে আমাদের অনেক হীনমন্যতাও আছে।

সবচেয়ে খারাপ সাবানের নাম বাংলা সাবান, সবচেয়ে খারাপ মদের নাম বাংলা মদ। এই হীনমন্যতা ঝেড়ে ফেলতে হবে। ‘দেশী পণ্য কিনে হও ধন্য’ এটা যেন নিছক স্লোগান না হয়, আমরা যেন সেই প্রবাসী শ্রমিকের মতো দেশী পণ্য কিনে ‘প্রাউড ফিল’ করতে পারি। টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, এসি, সাইকেল, মোটর সাইকেল, গৃহস্থালী পণ্য যেসব দেশে রপ্তানি হয়; তাদের কাছে কিন্তু এগুলো বিদেশি পণ্যই। তাই বিদেশি মানেই ভালো, আর বাংলাদেশি মানেই খারাপ; এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশি ব্র্যান্ড আমাদের গর্বিত করবে, বিশ্বে মর্যাদা দেবে।

লেখক : হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়