এস এম সাব্বির: [২] পদ্মা সেতু দিয়ে গ্যাস লাইন ঢুকবে গোপালগঞ্জে। এরই মধ্যে পদ্মা সেতুতে গ্যাস লাইন বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১০ জুন চীন থেকে গ্যাস লাইনের পাইপ দেশে এসে পৌঁছবে। খবর পেয়ে আনন্দে উচ্ছ্বামিদ গোপালগঞ্জবাসী।
[৩] পদ্মা সেতুর এমডি ও নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, সেতুর ভেতর দিয়েই যাবে গ্যাস লাইন। সেতুর নিচতলার রেললাইনের পশ্চিম পাশে থাকছে এই গ্যাস লাইন। ৭৬২ মিলিমিটার বা ৩০ ইঞ্চি ডায়ার পাইপে সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হবে। গ্যাস সরবরাহ নির্বিগ্ন করতে সেতুর দুই প্রান্তে দুটি সাবস্টেশন স্থাপন করা হবে। এই গ্যাস লাইন স্থাপনে এরই মধ্যে চীনা একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ‘সিপিপি’ নামে চীনা ওই প্রতিষ্ঠান চীন থেকে গ্যাস লাইনের পাইপ তৈরি করে পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে নিয়ে আসবে। আগামী ১০ জুন চট্টগ্রাম পোর্টে এ পাইপ এসে পৌঁছার কথা রয়েছে। গ্যাস লাইন স্থাপনে চীনা প্রতিষ্ঠান সিপিপির সঙ্গে ২১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এ কাজের চুক্তি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মাওয়া-জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত গ্যাস পাইপ স্থাপন করবে। এরই মধ্যে গ্যাস লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। তৈরি করা হচ্ছে ইউলুপ প্ল্যাটফর্ম।
[৪] গ্যাস ট্রান্সমিশন কম্পানির (জিটিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক গৌতম ঘোষ জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে পদ্মা সেতু হয়ে গ্যাস যাবে গোপালগঞ্জে। এরপর গোপালগঞ্জ থেকে খুলনায় এই গ্যাস লাইন নেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের গ্যাসের ব্রাঞ্চ স্টেশন থেকে ৩০ ইঞ্চি ডায়ার পাইপে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর হয়ে এই লাইন মাওয়া সাবস্টেশনে যুক্ত হবে। এরপর পদ্মা সেতুর জাজিরা সাবস্টেশন থেকে টেকেরহাট হয়ে গ্যাস লাইন যাবে গোপালগঞ্জে। গ্যাস লাইনের কাজ তদারকিতে থাকবে জিটিসিএল।
[৫] গোপালগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি সৈয়দ মুরাদুল ইসলাম বলেন, এই জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ করতে চলেছে আওয়ামীলীগ সরকার। আমরা গোপালগঞ্জবাসী খুবই আনন্দিত। সম্পাদনা: হ্যাপি