শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৬ জুন, ২০২১, ০৩:৩৩ দুপুর
আপডেট : ০৬ জুন, ২০২১, ০৪:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] চট্টগ্রামে ভারি বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা, কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর পানি

রিয়াজুর রহমান, জেরিন : [২] রোববার (৬ জুন) সকালেই নগরীর অধিকাংশ নিচু এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। প্লাবিত হয় নগরীর অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। ফলে সকালে অফিসগামী যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হন। বিভিন্ন সড়কে রিক্সা চললেও ভাড়া ছিল আকাশচুম্বী।

[৩] রোববার সকাল নয়টা থেকে বারোটা। এই ৩ ঘন্টার বৃষ্টিতেই চট্টগ্রাম শহর ডুবলো পানির নিচে।
এছাড়া সারাদিনই একটানা বৃষ্টিপাত ছিল চট্টগ্রামে। নগরীর দুই তৃত্বীয়াংশ এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানি, এমনকি গলা পানিতেও ডুবে গেছে।

[৪] পতেঙ্গা অফিসের আবহাওয়াবিদ ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, রোববার (৬ জুন) সকাল নয়টা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৭৫ দশমিক ০৪ মিলিমিটার। আর ভোর ছয়টা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২ দশমিক ০৪ মিলিমিটার।

[৫] মূলত সকাল নয়টা থেকে দুপুর বারোটা তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতেই চট্টগ্রাম শহর তলিয়ে গেছে। মৌসুমী বায়ূ বাংলাদেশে ঢুকে গেছে। আর এ প্রভাবেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এছাড়া আগামীকাল (সোমবার) এ ভারী বর্ষণ থাকবে বলে তিনি জানান।

[৬] এদিকে রোববার সকাল থেকেই টানা প্রবল বর্ষণে নগরীর প্রধান সড়কগুলে পানিতে তলিয়ে যায়। বাসা বাড়ি, দোকানপাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কক্ষেও পানি ঢুকে পড়ে।

[৭] এছাড়া নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, চকবাজার, প্রবর্তক মোড়, মুরাদপুর, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, চাক্তাই, আছাদগঞ্জ, মোগলটুলি, আগ্রাবাদ, ট্রাঙ্ক রোড, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, দেওয়ানহাট, আসকারাবাদ, মনসুরাবাদ, পাহাড়তলী, হালিশহর, ইপিজেড, আগ্রাবাদ এক্সেস রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

[৮] চট্টগ্রামের বৃহৎ পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বৃষ্টিরর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যহত হয় তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম।

[৯] উল্লেখ্য, নগরীর চাক্তাই খাল ও হিজড়া খাল পুরোপুরি পরিষ্কার না হওয়ায় বৃষ্টির পানি আশপাশের ঘর-বাড়িতে উঠে গেছে।

[১০] তাছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ’র অধীনে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান প্রকল্পের অধীনে নগরের বিভিন্ন খালে বাঁধ দেওয়া হয়েছে, যা এখন জলাবদ্ধতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়