মোহাম্মদ আলাউদ্দিন: [২] গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ জুড়ে চোখে পড়ে কাঁঠাল গাছের সারি। সেই গাছে থরে থরে ধরে আছে কাঁঠাল। গাছের গোড়া থেকে মগডাল পর্যন্ত ঝুলে আছে অসংখ্য কাঁঠাল। এমন দৃশ্য যে কাউকেই মুগ্ধ করে। গালা ও খাজা দুই জাতের কাঁঠালই পাওয়া যাচ্ছে পুরো এলাকা জুড়ে।
[৩] সরেজমিনে দেখা যায়, গোমতীর বেড়িবাঁধ ঘেঁষা গ্রাম সদর উপজেলার পালপাড়া, বুড়িচংয়ের ষোলনল, শিমাইল খাড়া, বালিখাড়া, ধামতী, রামনগর, হুরহুড়া, কামারখাড়া এলাকায় সড়কের দুই পাশের ঢালু জায়গায় শত শত কাঁঠাল গাছ। প্রতিটি গাছেই ঝুলছে কাঁঠাল। কোনো কোনো গাছে রয়েছে শতাধিক কাঁঠাল, কোনো গাছে রয়েছে ৫০টিরও অধিক, আবার কোনও গাছে ১০ বা তার কমবেশি কাঁঠাল ধরে আছে। শুধু কাঁঠাল নয়, এই গ্রীষ্মে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে তাল, আম, পেঁপেসহ নানারকম ফলের সমাহার ঘটেছে।
[৪] কাঁঠালসহ এসব ফল এখন কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন বাজারসমূহে বিক্রি হচ্ছে। খেতে সুস্বাদু, টাটকা এসব ফলের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। শিমাইলখাড়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ১৭টি গাছ আছে। প্রচুর কাঁঠাল ধরে গাছগুলোতে। আমরা কিছু কাঁঠাল বিক্রি করি, কিছু খাই, কিছু আবার মানুষকে বিলিয়ে দিই। ষোলনল গ্রামের জয়নাল আবেদীন জানান, এবার কাঁঠাল বেশি ধরলেও তেমনটা বড় হয়নি। বৃষ্টিপাত কম হলে এমন সমস্যা হয়। তবে ফলন ভালো হয়েছে। কাঁঠালের চাহিদাও বেশি। সম্পাদনা : ফাতেমা আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :