তরিকুল ইসলাম: [২] ঢাকায় চীন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ভ্যাকসিন আমদানিতে কোনো চুক্তিই হয়নি। বাণিজ্যিকভাবে ভ্যাকসিন আমদানিতে এখন পর্যন্ত চীন অথবা সিনোফার্মের সঙ্গে কোনো চুক্তিই করেনি বাংলাদেশ।
[৩] এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে যা কিছুই শোনা যাচ্ছে তা মোটেই ঠিক নয় এবং এখানকার গণমাধ্যমগুলো যা লিখে তা সম্পূর্ণ অসত্য।
[৪] হুয়ালং ইয়ান জানান, উভয় দেশের মাঝে ভ্যাকসিন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। এর বাইরে এ নিয়ে চূড়ান্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি এবং দ্রুতই বাংলাদেশ ভাকসিন পেতে যাচ্ছে।
[৫] এর আগে প্রথম দফায় গত ১২ মে বাংলাদেশকে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ ভ্যাকসিা উপহার দেয় দেশটি। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ২১ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে টেলিফোনে জানান, চীন বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে এই ছয় লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরুপ দেবে।
[৬] ১৩ জুন ছয় লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার এলে দেশটি থেকে উপহারের প্রাপ্ত ভ্যাকসিন ১১ লাখ ডোজ হবে।
[৭] বাংলাদেশ-চীনের টিকা কূটনীতির প্রক্রিয়ার মাঝেই বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং দাবি করেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে না পারা ও সময়ক্ষেপণের কারণে টিকা কিনতে দেরি হয়েছে বাংলাদেশের।
[৮] চীন বন্ধু দেশ হিসেবে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
[৯] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কোভিড-১৯ এর টিকা সবার জন্য সহজলভ্য করার তাগিদ দিয়েছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনেকদিন ধরে একই কথা বলে আসছেন।
[১০] দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশে যদি কোভিড ১৯ এর টিকা জরুরি ভিত্তিতে দরকার হয় তা যেন দ্রুততার সঙ্গে সরবরাহ করা যায় চীন এখন সেদিকে নজর দিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :