শিরোনাম
◈ কলকাতায় ভাঙচুরের ঘটনায় লিওনেল মেসি দায়ী: সু‌নিল গাভাস্কার ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের আমানত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ গভর্নরের ◈ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ছাড়া ভারত বিজয় অর্জন করতে পারতো না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ◈ সৌদিতে হলরুম ভাড়া করে নির্বাচনী সভা করায় কয়েকজন বাংলাদেশি আটক ◈ ৩০০ আসনের লড়াই: আসন ছাড়ে অনীহা, জোট রাজনীতিতে বাড়ছে টানাপোড়েন ◈ হাদিকে গুলি: প্রধান অভিযুক্তের ‘জামিন বিতর্ক’ নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা ◈ পে স্কেল নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যে সিদ্ধান্ত নিল কমিশন ◈ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ট্রাভেল পাস চাননি তারেক রহমান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বৈঠকে লন্ডন গেলেন জামায়াত আমির ◈ সরকারি গাড়িতে যুগ্ম সচিবকে জিম্মি, ৬ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা

প্রকাশিত : ০২ জুন, ২০২১, ০৬:৪৭ বিকাল
আপডেট : ০২ জুন, ২০২১, ০৬:৪৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরি-ব্যবসার প্রলোভনে কোটি টাকা আত্মসাৎ, আটক তিন

সুজন কৈরী : উচ্চ পদস্থ সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরি ও ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের তিনজনকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগ। আটকরা হলেন- সুজন ভূইয়া (৪৫), আব্দুল কাদের (৫৫) ও হারুন অর রশিদ সাগর (৫২)। বুধবার ভোরে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, প্রতারক চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় অফিস ভাড়া নেয়। এরপর তারা সাবেক সচিব, অতিরিক্ত সচিব, ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ারসহ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাদের চাকরির বিষয় আলাপের জন্য অফিসে ডাকে।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগীরা অফিসে গেলে তাদের সার্বক্ষণিক গাড়ি সুবিধাসহ উচ্চ বেতনে সম্মানজনক চাকরির প্রলোভন দেখায়। কিছুদিন পর আটকরা তাদের ব্যবসায়িক অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দেয়। তারা তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে বিভিন্ন ধাপে মূলধন বাবদ ১০ থেকে ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতারক চক্রটি সেই টাকা হাতে পাওয়ার পর অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পরে তারা তাদের মোবাইল নম্বরও বন্ধ করে দেয়।

অভিনব এই প্রতারক চক্রটি বেশ সতর্ক ছিল। তারা প্রতিবার নতুন অফিস নেওয়ার সময় নতুন মোবাইল ও সিম ব্যবহার করতো। সেখানে থাকাকালে তারা এই মোবাইল ও সিম ব্যবহার করতো। এগুলো তারা ভুল ঠিকানা দিয়ে কিনতো। এমনকি নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী টার্গেট ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে তাদের খুঁজে বের করার মতো কোনো ক্লু রেখে যেতো না। চক্রের সদস্যরা ছদ্মনাম ব্যবহার করতো।

চক্রটিকে ধরতে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় সিআইডিকে কাজ করতে হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে প্র তারণা মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়