শাহীন খন্দকার: [২] জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের আরও বলেছেন, হুমকীর মুখে পড়বে সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্প। গেলো দুই-তিন বছরের মত পশুর চামড়ার সঠিক দাম পাবে না বিক্রেতারা। ফলে কোরবানীর পশুর চামড়ায় যাদের হক রয়েছে, সেই এতিম ও দুঃস্থ্যদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। বন্ধ হয়ে যেতে পারে অসংখ্য এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং।
[৩] বিরোধী দলীয় এই উপনেতা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আরও বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই কোরবানীর সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কম মূল্যে পশুর চামড়া ক্রয় করে। সিন্ডিকেটের কারণে কোরবানীর সময় পানির দামেই বিক্রি হয়েছে পশুর চামড়া। আবার সঠিক মূল্য না পেয়ে অনেকে ক্ষোভ আর হতাশায় চামড়া মাটি চাপা দিয়েছে, কেরোসিন দিয়ে আগুনও দিয়েছে পশুর চামড়ায়।
[৪] বিক্রি করতে না পারায় অনেকের কোটি কোটি টাকা মূল্যের চামড়া পঁচে গেছে। বাজারে প্রতিযোগিতা না থাকায়, একচেটিয়া ভাবে নিয়ন্ত্রণ সৃষ্টি হয়েছে সিন্ডিকেটের। বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, কোরবানীর সময় চামড়া বিদেশে রফতানীর অনুমতি দিতে হবে।
[৫] জি এম কাদের বলেন, বিদেশে রফতানীর অনুমোদনের ফলে চামড়ার বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে, বিক্রেতারা ভালো দাম পাবেন। কোরবানীর পশুর চামড়ায় যাদের হক রয়েছে, সেই এতিম ও হতদরিদ্ররা আর্থিকভাবে উপকৃত হবে বলে তিনি জানান। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান