মাসুদ আলম : [২] রাজধানীর মহাখালীতে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের পর সোমবার বনানী লেক থেকে লাল রংয়ের ব্যাগের ভিতরে পলিথিনে মোড়ানো বিচ্ছিন্ন মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
[৩] রোববার রাতে মহাখালী আমতলার পাশের সড়কে ড্রামের ভেতর বস্তাবন্দি মাথা ও হাত পা বিচ্ছিন্ন এক মরদেহ উদ্ধার করার পর রাতেই মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বস্তাবন্দি হাত-পা উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার সকালে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। নিহত ময়না মিয়ার (৩৮) গ্রামের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জে।
[৩] শিল্পাঞ্চল থানার ওসি বিপ্লব কিশোর শীল বলেন, রোববার রাতে বনানী থানা পুলিশ মহাখালী থেকে হাত-পা ও মাথা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় ডাস্টবিন থেকে মরদেহটির হাত পা উদ্ধার করে শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ। পরে দুই থানার সুরতহাল প্রতিবেদনে নিশ্চিত হওয়া যায় কাটা হাত পা এবং কাটা শরীর একই ব্যক্তির।
[৪] তিনি আরও বলেন, কাটা হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে ডাটা সার্ভারে মেলানো হয়। নিহতের ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের সন্ধান পাওয়া যায় । তিনি দুটি বিয়ে করেছেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তিনি প্রথম স্ত্রী শিল্পীকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। তবে শিল্পীকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মরদেহের মাথা এখনও পাওয়া যায়নি। নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী নাসরিন কিশোরগঞ্জ থেকে এলে হয়ত মামলা হবে।
[৫] বনানী থানার ওসি নূরে আজম জানান, মহাখালীর আমতলী সড়ক থেকে বস্তাবন্দি মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে বনানী লেক থেকে লাল রংয়ের ব্যাগের ভিতরে পলিথিনে মোড়ানো বিচ্ছিন্ন মাথাটি উদ্ধার করা হয়।