হাবিবুর রহমান: [২] নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার ওসি’র বিচক্ষণতায় লাক মিয়া (২০) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা উদঘাটন হয়েছে।
[৩] সন্ধেহভাজন হিসেবে নিহতের বড় ভাই তাঁরা মিয়া (২৩) ও ভাবী রুমা আক্তার (১৯) নামের দুই স্বামী স্ত্রীকে পুলিশ আটকের পর বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
[৪] ভাবীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরেই প্রাণ দিতে হয়েছে লাক মিয়াকে এমনটিই নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার অফিসার-ইন চার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম।
[৫] এ দিকে পুত্রবধূর সাথে পরকীয়ার জেরে খুন হয়েছে ছেলে লাক মিয়া। এমন অভিযোগ এনে শনিবার (২৯ মে) বিকালে বড় ছেলে তাঁরা মিয়া ও পুত্র বধু রুমা আক্তারকে আসামী করে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা উপজেলার ঘোমকান্দা গ্রামের আবু সিদ্দিক ফকির।
[৬] ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু এমন খবরে শুক্রবার (২৮ মে) বিকালে তিনি নিজে সঙ্গীয় ফোর্সসহ নিহতের নিজ বাড়িতে গেলে স্থানীয়রা ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করতে চায়। কিন্তু মৃত্যুটি তাঁর কাছে রহস্যজনক মনে হওয়ায় তিনি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। এ সময় সন্ধেহভাজন হিসেবে নিহতের বড় ভাই ও ভাবীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসলে বেরিয়ে আসে খুনের প্রকৃত রহস্য।
[৭] এ ঘটনায় নিহতের বাবার দায়ের করা অভিযোগে জানাযায়, গত ৪/৫ মাস যাবত তার পুত্রবধূ রুমা আক্তারের সঙ্গে ছোট ছেলে লাক মিয়ার প্রেমের সম্পর্কসহ অবৈধ যৌন সংগম চলে আসছিল। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তার বড় ছেলে তাঁরা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তার ছোট ছেলে লাক মিয়াকে খুনের পরিকল্পনা করে।
[৮] গত দুই দিন আগে তিনি ও তার স্ত্রী আছমা খাতুন ঢাকায় তার মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে এ সুযোগে তার বড় ছেলে তাঁরা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তার ছোট ছেলে লাক মিয়াকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। হত্যার পরে তাকে মুটোফোনে জানায় লাক মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট/ গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে।
[৯] তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে নিহত ছেলের থুতনিতে ও বুকে দাগ দেখতে পান। আবু সিদ্দিক ফকিরের ধারণা তার ছেলে লাক মিয়াকে গত শুক্রবার (২৮ মে) সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে তার বড় ছেলে তাঁরা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তার আরও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হত্যা কাণ্ডটি ঘটিয়েছে।
[১০] পূর্বধলা থানার অফিসার-ইন চার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলা দায়েরের পরপরই ৭ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি