আনিস আলমগীর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুরের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ব্যথিত হয়েছিলাম। তার মৃত্যুর আসল কারণ জানার দাবি জানিয়েছিলাম। ধন্যবাদ যে পুলিশ মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করেছে। পুলিশ জানিয়েছে হাফিজুরের মৃত্যুর কারণ বন্ধুদের সঙ্গে এলএসডি নামক একটি মাদক সেবন যার বিভ্রমে সে নিজেই নিজেকে হত্যা করেছে।
.
গতকাল থেকে আমি এ সংক্রান্ত অনলাইন সংবাদ, টিভি নিউজ দেখছিলাম। কিন্তু দূঃখজনক হচ্ছে রিপোর্টাররা হাফিজের পরিণতি এবং তথাকথিত বন্ধুদের চরিত্র উন্মোচন, ফলোআপ রিপোর্ট- এসবের পরিবর্তে এই বিদেশি ড্রাগটির দাম কত; কীভাবে কিনতে হয়; কোন এ্যাপস ব্যবহার করতে হবে আর তার জন্য কোন ফেইসবুক গ্রুপে যেতে হবে; কত পদ্ধতিতে ড্রাগটি সেবন করা যায়, কত প্রকারে বাজারে পাওয়া যায়, উপাদান কী কী, ফিলিংস কেমন- এসব বর্ণনা করছে। মোটকথা তারা ড্রাগের প্রমোশনাল কাজে লিপ্ত হয়েছে।
.
সাংবাদিকতায় কতটা দেউলিয়াত্ব আসলে, এ ধরনের রিপোর্ট অনুমোদন পায় নিউজ গেটকিপারদের হাত দিয়ে; রাষ্ট্র এবং সরকার রাজনীতি নিয়ে কঠোর কিন্তু এসব সামাজিক ইস্যু নিয়ে কতটা উদাসিন- এসবই হচ্ছে তার সুস্পষ্ট লক্ষণ।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট, ইরাক ও আফগান যুদ্ধ-সংবাদ সংগ্রহের জন্য খ্যাত।