ডেস্ক রিপোর্ট: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাতায়াতের কারণে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সোমবার সকালেও লড়াইঘাট সীমান্ত এলাকার পদ্মপুকুর গ্রাম থেকে চার জনকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে আটক করেছে বিজিবি। এ নিয়ে মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে এ মাসে ৪০ জনকে আটক করেছে বিজিবি। ভারতফেরত ১১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটা ভারতীয় ধরন কি-না তা জানতে এদের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ইত্তেফাক
বিজিবির ঝিনাইদহের খালিশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল কামরুল আহসান জানান, আটককৃতদের পাসপোর্ট আইনে মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. মজিবার রহমান জানান, আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখার আদেশ দিয়েছে।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, ‘অবৈধভাবে ভারত থেকে আসা তিন জনের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সদর হাসপাতালে পৃথকভাবে রেখে তাদের চিকিত্সা দেওয়া হয়। বৈধ পথে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতফেরত ঝিনাইদহে কোয়ারেন্টাইনে থাকা আরো আট জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদেরও সদর হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। তাদের করোনা ভারতীয় ধরন কি-না জানার জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ জেলায় ভারতফেরত ১০০ জন কোয়ারেন্টাইনে আছে।’
জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, ‘সীমান্ত এলাকায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সচেতন করা হয়েছে।’ বিজিবির এক সূত্র জানায়, এ পারের মাদক চোরাচালানিরা সীমান্ত পার হয়ে ওপারে গিয়ে মাদক নিয়ে আসেন। এ সময় ভারতীয় মাদক চোরাচালানিদের সঙ্গে মেলামেশা হয়। মহেশপুর সীমান্তের ওপারে নদীয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। এ দুটি জেলায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা খবরে জানা যায়।
বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মো. খালেকুজ্জামান জানান, ‘দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী ঠাকুরপুর গ্রামের বিপরীতে ভারতীয় একটি গ্রামে ৭০ জন করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। মারাও গেছে। সীমান্তে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।’