সুজন কৈরী: [২] দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা গাড়ি চুরি ও ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম- রফিকুল ইসলাম (৩৩), বাহাদুর ইসলাম (৩৫), মশিউর রহমান (৩৭), শহিদুল ইসলাম (২৬), তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও তাফসির উদ্দিন (২৫)।
[৩] গত শুক্রবার থেকে ঢাকা, গাজীপুর, যশোর, নরসিংদী ও গোপালগঞ্জ জেলায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিম। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত ২টি প্রাইভেটকার, ৮টি মোটরসাইকেল ও ৪টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
[৪] গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসূদন দাস জানান, কোতয়ালী থানা ও ধানমন্ডি থানায় চুরির মামলা তদন্তকালে এই চোর ও ছিনতাই চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর কেরাণীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ও বাহাদুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে কেরাণীগঞ্জ থেকে ১টি চোরাই প্রোবক্স প্রাইভেটকার ও ১টি মোটরসাইকেল এবং গাজীপুর থেকে ১টি প্রোবক্স প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। এছাড়া যশোর থেকে চক্রের আরও তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যে গোপালগঞ্জ থেকে চক্রের অপর সদস্য তাফসিরকে গ্রেপ্তার এবং ৭টি মোটরসাইকেল ও নরসিংদী জেলা থেকে ৪টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
[৫] গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে মধুসূদন দাস আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা যাত্রী বেশে গাড়ীতে উঠে সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে সুকৌশলে ড্রাইভারকে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অথবা জোর করে গাড়ি ছিনিয়ে নেয়। কখনো আবার পার্কিং করা গাড়ি মাস্টার কি দিয়ে খুলে চুরি করে। প্রাইভেটকার চুরির পর এগুলো আবার মটরসাইকেল ও সিএনজি চুরির জন্য ব্যবহার করত। মোটরসাইকেল চুরির পর দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পাঠিয়ে দিত।
গ্রেপ্তারকৃতদের কোতয়ালী ও ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :