শাহীন খন্দকার: [২] জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে আরও বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী বিদেশের সাথে সকল চুক্তি সংসদে উপস্থাপন করেত হবে। তাছাড়া টিকা কেনাকাটা কখনোই রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা হতে পারে না। তিনি বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। অফিসিয়াল সিক্রেট আইন রোজিনার বিরুদ্ধে প্রযোজ্য নয়।
[৩] তাছাড়া দেশের টাকায় টিকা কেনাকাটার খবর জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। এ কারণেই তথ্য সংগ্রহ কখনোই চুরি হতে পারে না। তাই দৈনিক প্রথম আলোর অনুসন্ধানী প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম এর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার করতে হবে ।
[৪] শুধু জামিন নয়, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম-এর মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।পাশাপাশি সাংবাদিক সুরক্ষা আইন তৈরি জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, সেনা বিদ্রোহ ও রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে একশ' বছর আগে অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট তৈরি করে বৃটিশ সরকার। এই আইন তৈরি হয়েছে সেনা সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। বৃটিশ রাজাদের রাজত্ব কায়েম রাখার জন্য এ আইন ব্যবহৃত হয়েছে, যা এখন অপ্রয়োজনীয়।
[৫] বিরোধী দলীয় এই উপনেতা বলেন, অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা নজিরবিহীন। স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বৃটিশদের তৈরি অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট এখন মেয়াদোত্তীর্ণ কালো আইন। উপমহাদেশে এই আইনে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শাস্তির নজির নেই।
[৬] রোববার গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট সংবিধান, গণতন্ত্র ও তথ্য অধিকার আইনের পরিপন্থী। বৃটিশ সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে করা এই আইন এখন অপ্রয়োজনীয়। তাই অফিসিয়াল সিক্রেট আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা চলতে পারে না।
আপনার মতামত লিখুন :