জুলহাজ নূর: ব্রিটিশ উপনিবেশি আইন অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট চলছে স্বাধীন রাষ্ট্রে! যে আইন আমাদের তথ্য অধিকার আইনকেও করে রাখে অকার্যকর। আপনারা যে তথ্যগুলোকে রাষ্ট্রীয় গোপন বলেন সেগুলো আসলে পাবলিক ডকুমেন্ট। তবে হ্যাঁ, তথ্যভেদে সেনসিটিভিটির মাত্রা আছে নিশ্চয়ই। সেজন্যই সংবাদ মাধ্যম বা সাংবাদিকের তথ্য প্রকাশে একটা সম্পাদকীয় নীতি-পদ্ধতি রয়েছে। আপনি সেই নীতি পদ্ধতির উপর সংবাদ চর্চাকে ছাড়ুন।
‘অফিসিয়াল সিক্রেট’, ‘রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি’ - এসব বলে আপনি তথ্য অধিকারের ওপর যেভাবে চড়াও হন, উদ্যত হন গলায়, তখন নিশ্চিত জানবেন আপনার মগজে ‘উপনিবেশ’ জগদ্দল হয়ে আছে। আর তাই আপনার অবস্থান জনস্বার্থবিরোধী। আর সাংবাদিকতা হলো license to serve public interest. আর তাই জনস্বার্থে সে তথ্য পেতে ছুটবে, লড়বে, গোপন থেকে করবে প্রকাশ্য! বিরোধ এখানে। আর এখানেই ক্ষমতা প্রশ্ন।
আমাদের না স্বাধীনতার পঞ্চাশ হলো। জনস্বার্থে অবিলম্বে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট বাতিল করুন। মগজটাকে সচল করুন। মগজে স্বাধীন রাষ্ট্রই কেবল স্বাধীন সাংবাদিকতার মর্ম জানে। মফস্বল, দপ্তরগুলোয় সাংবাদিক হেনস্তা- হামলা- মামলার ঘটনা নানা সময় খবর হয়। এবার রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় দপ্তর সচিবালয়ে এমন হলো। আজকে সাংবাদিকরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং বয়কট করেছে। এ বয়কট নিয়ে হয়তো তর্ক আছে, তবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সাথে যা ঘটেছে তা সব পক্ষকেই নির্মোহভাবে ভাবা দরকার। বোঝা দরকার সাংবাদিকতা বা গণমাধ্যম হলো সূর্যের মতো, অন্ধকারে আলো ফেলা তার কাজ। আপনি অন্ধকার জারি রাখলেও সূর্য উঠবে, আলো ফেলবে। আপনি গলায় উদ্যত হলেও সে গলা ছাড়বে। অবিলম্বে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন। ফেসবুক থেকে