শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১৮ মে, ২০২১, ০৫:০১ সকাল
আপডেট : ১৮ মে, ২০২১, ০৫:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোজাম্মের হোসেন ত্বোহা: পশ্চিমারা যেভাবে আরবদের কাছ থেকে গণতন্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছিলো

মোজাম্মের হোসেন ত্বোহা: বহুল প্রচলিত একটি অভিযোগ আছে, আরবরা নাকি গণতন্ত্রের জন্য উপযোগী না। বিশেষ করে আরব বসন্তের ধারাবাহিকতায় তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া এবং পরবর্তীতে ইয়েমেন, আলজেরিয়া ও সুদানের স্বৈরশাসকদের পতনের পরেও দেশগুলোর পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হয়ে বরং আরও অবনতি হওয়ায় অনেকের কাছেই এ তত্ত্ব নতুন করে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আজ থেকে শত বছর আগে, ইউরোপেরও অনেক দেশে যখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তখনই সিরিয়ান আরবরা উদ্যোগ নিয়েছিলো সময়ের তুলনায় অনেক আধুনিক একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার। সে সময় সিরিয়ার নির্বাচিত জনপ্রতিধিরা এমন একটি সংবিধান রচনা করেছিলেন, শত বছর পরেও বিশ্বের অনেক দেশের জন্য যা ঈর্ষণীয় হয়ে আছে। সেই সংবিধানে বিলাদ আল-শাম তথা বৃহত্তর সিরিয়াকে ঘোষণা করা হয়েছিলো একটি গণপ্রতিনিধিত্বমূলক রাজতন্ত্র হিসেবে, যেখানে রাজার ক্ষমতা ছিলো খুবই সীমিত এবং অধিকাংশ ক্ষমতা ছিলো নির্বাচিত সংসদের হাতে ন্যস্ত। কামাল আতাতুর্কের তুর্কি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠারও তিন বছর আগে রচিত সিরিয়ার এই সংবিধান ছিলো একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান। এই সংবিধানে কোনো রাষ্ট্রধর্ম ছিলো না। বরং সকল ধর্মের নাগরিকদের জন্য সেখানে ছিলো সমানাধিকার।

ধর্ম বিষয়ে সেখানে কেবল বলা ছিলো, রাজার ধর্ম হতে হবে ইসলাম। অথচ যে সংসদ সদস্যরা এই সংবিধান পাশ করেছিলেন, তাদের অধিকাংশ সদস্যই ছিলেন অটোমান আমলের রক্ষণশীল নেতারা। এবং সে সময় সংসদের যিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন, যার উদ্যোগেই মূলত এই সংবিধান আলোর মুখ দেখেছিলো, তিনি ছিলেন সে সময়ের আরব বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ইসলামিক স্কলার- রাশিদ রিদা। এমনকি খোদ আমেরিকায়ও যখন নারীরা ভোটাধিকার পায়নি, তখন এই সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করার সময় সিরিয়ান আরব কংগ্রেসের সদস্যরা সিরিয়ান নারীদেরকে ভোটাধিকার দেওয়ার সম্ভাবনা বিচরণ করেছিলেন। শেষপর্যন্ত সমাজের প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় ওই মূহুর্তে নারীদেরকে ভোটাধিকার না দিলেও তারা সংবিধানের ওই ধারার জন্য এমনভাবে লিঙ্গ-নিরপেক্ষ শব্দ নির্বাচিত করেছিলেন, যেন যেকোনো মুহূর্তে নারীদের ভোটাধিকার দিতে কোনো সমস্যা না হয়। সিরিয়ার এই সংবিধান যদি কার্যকর হতে পারতো, তাহলে তার ধারাবাহিকতায় আজ হয়তো আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি আরব বিশ্ব দেখতে পেতাম, যে বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রই হতো গণতান্ত্রিক। কিন্তু সেটি যে হয়নি, তার কারণ আর কিছুই না, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের ওপনিবেশিক স্বার্থ। আজ থেকে শত বছর আগে ব্রিটেন এবং ফ্রান্স কীভাবে সিরিয়ানদের গণতন্ত্রের পথে যাত্রাকে ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিয়েছিলো, সেই কাহিনীই ‘How the West Stole Democracy from the Arabs’ বইয়ের মাধ্যমে পাঠকদের সামনে তুলে এনেছেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ইতিহাসবিদ এলিজাবেথ এফ. থম্পসন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়