সুজন কৈরী: [২] ওমান থেকে একজন প্রবাসী তার আত্মীয়ের জন্য সেই দেশ থেকে ফেরত আসা অপর এক বাংলাদেশি মাসুদ পারভেজ রাজার মাধ্যমে একটি দামি ল্যাপটপ দেশে পাঠান। কথা ছিল দেশে ফেরার দিন এয়ারপোর্ট থেকে ল্যাপটপটি ওই আত্মীয় সংগ্রহ করবেন। কিন্তু রাজা এয়ারপোর্টে নেমে সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। রাজা ও তার ভাইয়ের মোবাইলে বার বার ফোন দিলেও প্রাবসীর আত্মীয়কে নানাভাবে ঘোরাতে থাকেন রাজা। অস্বীকার করেন ল্যাপটপের কথা। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানান প্রবাসীর আত্মীয়। এরপর পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হয় ল্যাপটপ ও রাজার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
[৩] সোমবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা জানান, রাজধানীর খিলগাঁও থেকে আলাউদ্দিন মাহি নামে একজন বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের ইনবক্সে মেসেজ পাঠিয়ে জানান, ওমান থেকে তার এক ভাগ্নী জামাই ওমান ফেরত অপর এক বাংলাদেশি মাসুদ পারভেজ রাজার মাধ্যমে একটি দামি ল্যাপটপ তার জন্য দেশে পাঠান। কথা ছিল দেশে ফেরার দিন এয়ারপোর্ট থেকে ল্যাপটপটি আলাউদ্দিন মাহি নিজেই সংগ্রহ করবেন। রাজা এয়ারপোর্টে নেমে আলাউদ্দিন মাহি বা ল্যাপটপ প্রেরনকারীর সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। রাজা ও তার ভাইয়ের মোবাইলে বার বার ফোন দিলেও তারা আলাউদ্দিনকে নানাভাবে ঘোরাতে থাকেন এবং ল্যাপটপের কথাও অস্বীকার করেন। পরে আলাউদ্দিন বিষয়টি পুলিশকে জানান।
[৪] এক পর্যায়ে তার এক বন্ধুর পরামর্শে বিষয়টি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের দৃষ্টিতে আনেন আলাউদ্দিন। তার বার্তা পাওয়ার পরপর এ বিষয়ে প্রাথমিক কিছু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে মিডিয়া উইং। জানতে পারে রাজার গ্রামের বাড়ি কুস্টিয়ার ভেড়ামারায়। অভিযুক্তের নাম ঠিকানাসহ বার্তাটি ভেড়ামারা থানার ওসি শাহজালালকে পাঠিয়ে দ্রæত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।
[৫] এরই প্রেক্ষিতে, ওসি তাৎক্ষনিক থানার এসআই দীপন কুমার ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযুক্তের বাড়িতে পাঠান। পুলিশকে একাধিকবার যেতে হয়েছে রাজার বাড়িতে। পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে প্রথমে পরিবারের সদস্যরা অস্বীকার করে রাজার দেশে ফেরার কথা। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরেই রাজার অবস্থান সনাক্ত করা হয়। আলাউদ্দিনের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তার দেয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে ল্যাপটপটি উদ্ধার করা হয়েছে।
[৬] ল্যাপটপটি যোগ্য প্রাপক আলাউদ্দিন মাহিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত মাসুদ পারভেজ রাজার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
[৭] ল্যাপটপটি বুঝে পেয়ে আলাউদ্দিন মাহি লিখেছেন, মাত্র ১০দিনের মধ্যে পুলিশ অপরাধীদের খুঁজে বের করে আমার ল্যাপটপটি উদ্ধার করে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে যা আমাদেরকে অভিভ‚ত করেছে। আমি খুবই আনন্দের সাথে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের আন্তরিক চেষ্টায় আমি এই ল্যাপটপটি ফিরে পেয়েছি। এ জন্য আমি ভেড়ামারা থানাসহ পুলিশের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং পুলিশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।