ফরিদ আহমেদ: শ্রীকান্ত আচার্য একসময় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানগুলো নতুন করে গাইতেন। সেগুলো খুব জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছিলো। আমি ওই গানগুলো কখনোই শুনতে চাইতাম না। আমার যুক্তিটা খুব সহজ ছিলো। হেমন্তের নিজের কণ্ঠের গানই যেখানে সহজলভ্য, সেখানে আমি শ্রীকান্তের কণ্ঠে হেমন্তের গান শুনতে যাবো কোন দুঃখে? ঠিক একই কারণে আমি ফকির আলমগীরের গাওয়া হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান শুনি না। শুনতে ইচ্ছে হলে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের নিজের কণ্ঠের গানই শুনি। বর্তমান যুগটা হয়ে গিয়েছে রিমিক্সের যুগ। মূল শিল্পীর গানের চেয়েও রিমিক্সের শিল্পী বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেন এখন। এটা রিমিক্স শিল্পীদের দোষ না। দোষ শ্রোতাদের। তারাই তাদের মাথায় তুলে নাচানাচি শুরু করে।
যে কারণে রাম কানাই দাশের গাওয়া ‘আইলো রে নয়া জামাই’ ভাত পায় না, অখ্যাত এক মেয়ের গাওয়া ‘আইলারে নয়া দামান’ মাঠ কাঁপায়। সেই মাঠ কাঁপানোর গর্বে অখ্যাত শিল্পী এই গানের পেটেন্ট করবে বলেও হুমকি দেয়। নোবেল ম্যানও আমাদের দর্শক শ্রোতাদেরই সৃষ্টি। কলকাতা গিয়ে আইয়ুব বাচ্চু, জেমসের গান গেয়েছে এই অপ্রতিভাবান গায়ক। সেগুলো গেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাকে মাথায় তুলে নিয়ে নাচানাচি করা হয়েছে। এই নাচানাচির চোটে তার ধারণা জন্মে গিয়েছে যে জেমসের চেয়েও বড় গায়ক। ফলে উন্মুক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে সে জেমসের বিপক্ষে। বরাহ শাবককে সুযোগ দিতে নেই। সুযোগ দিলে, বাপের পশ্চাৎ দেশেই প্রথম কামড়টা বসায় সে। ফেসবুক থেকে