সমীরণ রায়: [২] সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা ছিল, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ২৩ মে। আর বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে ২৪ মে। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মানুষের চলাচল ও সার্বিক কাজকর্মে চলমান বিধিনিষেধ আরও ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ছে। এ অবস্থায় ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।
[৩] শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, যেহেতু চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে, তাই ২৩ মে স্কুল-কলেজ এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা সম্ভব হবে না। করোনাভাইরাসের কারণে ১৪ মাস ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এর ফলে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যা পড়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে ঘাটতি নিয়ে ওপরের ক্লাসে উঠছে। কতটুকু শিখল, সেটাও যাচাই করা যাচ্ছে না।
[৪] একটি বেসরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসজনিত বন্ধে প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শিখতে না পারার বা শিক্ষণঘাটতির ঝুঁকিতে আছে। এমন অবস্থায় শিক্ষার এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার তাগিদ দিচ্ছেন শিক্ষাবিদেরা। তাঁদের অনেকে যেসব এলাকায় সংক্রমণ নেই বা কম, সেসব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও সুপারিশ করেছেন।
[৫] এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধের পর গত ৩০ মার্চ দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু সেটিও সম্ভব হয়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।